অসুস্থ ছিলাম, দলের কেউ খোঁজ নেয়নি : রওশন

| রবিবার , ৩ জুলাই, ২০২২ at ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছয় মাস পর দেশে ফেরা বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ তার দল জাতীয় পার্টির নেতাদের নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অসুস্থতার এই সময়ে দলীয় নেতাদের কেউ তার খবর নেননি। আর প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর দলটিও এলোমেলো হয়ে পড়েছে। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এখন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদে আছেন। দলটির চেয়ারম্যানের পদে আছেন জি এম কাদের, তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা। তিন বছর আগে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের মৃত্যুর পর দলে কর্তৃত্ব নিয়ে দেবর-ভাবি কাদের ও রওশনের বিরোধ দেখা দিয়েছিল, পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়। খবর বিডিনিউজের।
ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) টানা ৮৪ দিন থাকার পর গত বছর সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন ৮০ বছর বয়সী রওশন। সাত মাস পর দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর গতকাল শনিবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আসেন তিনি। এই সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ ছিল না।
রওশন বলেন, দীর্ঘ ছয় মাস আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি আমার। আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। তবে হালে দল থেকে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তারা খোঁজ নিয়েছেন বলে জানান জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। যাদেরকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। বাদ পড়াদের দলে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, আমাদের আজ খুব দুঃসময় চলছে। আপনি (রওশন) যখন অসুস্থ, তখন আপনার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। আপনি যখন সংকটাপন্ন অবস্থায় থাইল্যান্ড যান, তারপরের দিন তারা কঙবাজারে দলবেঁধে আমোদ ফুর্তি করেছে। রওশন এরশাদের জীবদ্দশায় তার ছেলে সাদ এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান করার দাবি জানান মামুন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলন, দেলোয়ার হোসেন খান, জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু। রাহগীর আল মাহি (সাদ এরশাদ), রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, হাবিবুল্লাহ বেলালী, সভাপতমিণ্ডলীর সাবেক সদস্য এমএ সাত্তার সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষক অবমাননায় কড়া প্রতিবাদ সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধসাড়ে ২৩ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার সার্ভেয়ার আতিক জেল হাজতে