অলংকার মোড় থেকে শিশু চুরি করে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি

৯ দিন পর ফতুল্লা থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

 

স্বামীর সাথে রাগ করে ফাতেমা খাতুন গত ২০ নভেম্বর চাকরির খোঁজে ১১ মাস বয়সী সন্তান শর্মিলীকে নিয়ে যশোর থেকে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে পরিচিত কেউ না থাকায় তিনি পাহাড়তলী

থানার অলঙ্কার মোড়ে অবস্থান করার সময় কাউসারের কাছে চাকরির কথা বলেন। কাউসার নিজের ফোন নম্বর ফাতেমাকে দিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। ২২ নভেম্বর অলঙ্কার মোড়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঘোরানোর কথা বলে কাউসার একপর্যায়ে সটকে পড়েন। নয়দিন পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় চোর এবং চুরি করা শিশুটিকে কিনে নেয়া এক দম্পতিকে। গতকাল ১ ডিসেম্বর সকালে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন সিএমপির সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম। গ্রেপ্তার তিনজন হলো, কাউসার হোসেন বাবু (২৮), গোলাম হোসেন (৩২) ও লাকি আক্তার (২৮)। ফাতেমার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায়।

সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, গত ২২ নভেম্বর শিশুটিকে তার মায়ের কাছ থেকে ‘কৌশলে’ নিয়ে সটকে পড়েছিল কাউসার। পরে শিশুটিকে সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকদিন রেখে তাকে কেরানীগঞ্জে গোলাম হোসেনলাকী দম্পতির কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এক হাজার টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে বাকি টাকা চুক্তি সম্পাদনের পর নেওয়ার কথা ছিল। বুধবার শিশুটির মা ফাতেমা পুলিশকে না জানিয়ে পুনরায় যশোর চলে যান। আটদিন পর বুধবার সকালে ফাতেমা তার বোন, বোন জামাইসহ কয়েকজন স্বজনকে নিয়ে চট্টগ্রামে এসে পাহাড়তলী থানায় সন্তান চুরির অভিযোগ করেন। এরপর থানা পুলিশের একটি দল ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে কাউসারকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যে কেরানীগঞ্জ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে অপর দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজার্মানির বিদায়, জাপান নক আউট পর্বে
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তিবাহিনী ফটিকছড়ি রাউজান ও আনোয়ারার অনেক স্থান দখলে আনে