অভিমান

নজরুল জাহান | শুক্রবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

কেন যে তোমার এতো অভিমান তাতো বুঝি
মান ভাঙানোর পথ জানা আছে তাও বুঝি।
তোমার অভিমানী মুখ যে হাসে না, অন্য মুখেও ভাসেনা,
আসে না মায়ের রঙ রেখা ভাষা তাও বুঝি।

চৌহদ্দির ভেতরের শেকলে বাঁধা গানের পাখিরে
আঁকুবাকু করতে দেখি তাও বুঝি
বিদেশ বিভুঁয়ে উড়ে উড়ে গাবে তাও না পাড়ে
গায়েন বায়েন তাও বুঝি।
এত এত কাল গেলো পাতার মর্মরে
ফুটিল না মা ছেলের স্ফুর্তি কলরবে।
কলরবের হাহাকার কল্লোল মায়ের বেদনা না মিললো,
না গেলো যাতনার বিষ,
দোয়েল মুক্ত হরিনী বনে ছন্দে ছন্দে গানে বৃথাই গায় আন্তর্জাতিকতা ।

বঙ্গমাধবী বনে বসন্তকবি উচ্ছসিত কোকিল!
ঢেউ জাগা সবুজাভ সুযের্র লালাভ কন্ঠে বংগকবির ধ্বনি অনুধ্বনি
অগ্নিবীণা গীতাঞ্জলী ভাষান্তর ফুলে ফুলে সৌরভে সৌরভে মনবীক্ষণ হয়ে বয়ে যাবে
প্রবাহমান নদী বন প্রান্তরে মুনিষ্যি কলস্বরে
অভিমানে তুমি না কথা কও, না সুখ না দুঃখ ব্যথা যন্ত্রণা মান না, খুলে বল মা! মা-
তোমার সে ঘা বুকভরা মায়ায় জাগে
মেঘনা যমুনা পদ্মা ধলেশ্বরী জলেশ্বরী বুড়িগংগা সাতমহলা ব্রহ্মপুত্র
বহুলকাঙ্ক্ষিত রেখা চিত্র কাব্যে
মা! জাগো
উচ্ছলিত হও
কল্লোলিত হও
বহু ঘুমের অজর পাললিক দুঃখ তাপে শুকিয়ে
‘আ মরি’ সোনার বাংলা সোনার রসহাঁড়ির রস ঢালার ছন্দ- ঘ্রাণ গো মা —
জাগাও ফের জাগাও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅমর একুশে
পরবর্তী নিবন্ধনোঙর