অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলা একাডেমি পুরস্কার গ্রহণ করলেন চট্টগ্রামের তিনজনসহ ১৫ কবি, লেখক ও গবেষক

| বৃহস্পতিবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

যারা অনির্বাচিত সরকার ফিরিয়ে আনার পক্ষে কথা বলে, তাদের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে। গতকাল বুধবার অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে খুব জ্ঞানীবিজ্ঞানী আছেন। তাদের মুখে শুনলাম, দুচার বছরের জন্য যদি অনির্বাচিত সরকার আসে, তাহলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।

কারা এগুলো বলেন, সেটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। অনির্বাচিত সরকার তো আপনারা দেখেছেন। এখানের ছাল ওখানে নিয়ে নানাভাবে দল করার চেষ্টা করেন, রাজনৈতিক নেতাদের খারাপভাবে উপস্থাপন করে অপকর্মের চেষ্টাও করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাভারত অশুদ্ধ হবে না, অশুদ্ধ হবে আমাদের সংবিধান। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এবং তৎপরবর্তী বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধান, অনির্বাচিত সরকার এলে সেটি অশুদ্ধ হবে। খবর বিডিনিউজের।

মহামারীর কারণে গত দুই বছর সশরীরে মেলায় আসতে পারেননি শেখ হাসিনা। এবার তাই মেলায় এসে তিনি ছিলেন উচ্ছ্বসিত। ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ১৫ জন কবি, লেখক ও গবেষকের হাতে ২০২২ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন রয়েছেন চট্টগ্রামের। এরা হলেন অনুবাদে আলম খোরশেদ, নাটকে মিলন কান্তি দে এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় মুহাম্মদ শামসুল হক। পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন কবিতায় ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত, কথাসাহিত্যে তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন, প্রবন্ধ/গবেষণায় মাসুদুজ্জামান, নাটকে ফরিদ আহমদ দুলাল, শিশুসাহিত্যে ধ্রুব এষ, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সুভাষ সিংহ রায়, বিজ্ঞান/ কল্পবিজ্ঞান/ পরিবেশ বিজ্ঞানে মোকারম হোসেন, আত্মজীবনী/ স্মৃতিকথা/ ভ্রমণকাহিনীতে ইকতিয়ার চৌধুরী, ফোকলোরে আবদুল খালেক ও মুহম্মদ আবদুল জলিল এ পুরস্কার পেয়েছেন।

বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা এবং পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান ছোটন বক্তব্য রাখেন।

শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক সংগঠন সুরের ধারার শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং একুশের অমর গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য বাংলা একাডেমির উদ্যোগে দেশবিদেশের কবিসাহিত্যিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সাহিত্যমেলা বা সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। বইপড়ার অভ্যাস বৃদ্ধির জন্য সারাদেশে আঞ্চলিক সাহিত্যমেলা চালিয়ে যেতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্নীতি সূচকে দেশকে একধাপ নামানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধহজে এবার খরচ বাড়ছে লাখ টাকা