অনন্যা শেখ হাসিনা

কুমার প্রীতীশ বল | বুধবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কালুরঘাট সড়ক কাম রেল সেতুসহ পাহাড় সমান দাবি আর প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ এক দশক পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আসছেন। ৪ ডিসেম্বর এ মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের মাঠে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। ১০ বছর ৯ মাস পর ৪ ডিসেম্বর একই মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের চাঙা করতে ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

সংকটকালীন বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৪ ডিসেম্বর দলীয় সম্মেলনও আহবান করেছে। ১৯৮১ সালের এমনি একটি সম্মেলনে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের এক সংকটকালীন সময়ে দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তারপর থেকে তিনি দেশের এবং দলের সংকটকালীন সময়ে বারে বারে মুশকিল আশান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। আজ দেশে বারে বারে মুশকিল আশান হিসাবে যাঁকে পাওয়া যাচ্ছে, তিনি শেখ হাসিনা। তাঁকে আমার এক প্রিয় মানুষ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংএর সিইও জনাব রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট পারসন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। শেখ হাসিনার অনন্য ভূমিকা তাঁর অদম্য উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কথা শুধু মনে করিয়ে দেয় না, মনে করিয়ে দেয় তাঁর বিশাল হৃদয়ের মহানুভবতার কথা। আজ আমি সেই অন্যান্য শেখ হাসিনার কথা উপস্থাপন করব।

১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসের কথা। তখন তিনি বিরোধী দলের নেত্রী। আমি আমার প্রকাশিত প্রথম কিশোর গল্প গ্রন্থ ‘আগামীর জন্য ভালোবাস’ তাঁর কাছে ডাকযোগে পাঠালাম। তারপর ক’দিন পর আমার ঠিকানায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের দফতর থেকে আসে একটা চিঠি। চিঠিতে তৎকালীন বিরোধীদলের নেতা শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘স্নেহের প্রীতীশ, তোমার চিঠি, পাঠানো বই এবং স্মরণিকা আমি পেয়েছি। তোমার এ মহতী প্রয়াস সফল হোক। আমি তোমার বই পড়ছি। একজন লেখক হিসাবে তুমি সফল হও। দেশ এবং জাতি তোমার কাছ থেকে প্রকৃত সত্য এবং তথ্য জানতে পাক এই কামনা করি। অনেক অনেক শুভেচ্ছাসহ শেখ হাসিনা।’ এর প্রায় নয় বছর পর ২০০১ সালে, যেদিন শেখ হাসিনা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে তৃতীয় তত্তা্ববধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের কাছে দায়িত্ব অর্পন করে নির্বাচনে যোগদান করেন, সেদিন আমি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়ে দেখি ওখানকার লাইব্রেরির একটা আলমারিতে আমার প্রদত্ত সেই বই পরম যত্নে শোভা পাচ্ছে। আমি অভিভূত হয়ে যাই,অনন্যা শেখ হাসিনা’র মহানুভবতায় যখন আমার মতো একজন অপরিচিত, মফস্বলবাসী ছাত্রের কাছ থেকে ডাকযোগে পুস্তক গ্রহণ করে পত্র দিয়ে প্রাপ্তি সংবাদ পাঠান।

পাঠক নিশ্চয় স্মরণে আছে, ১৯৯২এর ১৯ জানুয়ারি শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে সূচিত হয়েছিল এই অভূতপূর্ব আন্দোলন। নির্মূল কমিটি গঠনের সময়ে শেখ হাসিনা কোনো এক কারণে দেশে ছিলেন না। ফিরে আসেন ফেব্রুয়ারি মাসে। তিনি ফিরে আসার পর একদিন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম তাঁকে ফোন করে দেখা করতে চাইলেন। শহীদ জননী তাঁর সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দেখা করার ইচ্ছেপোষণ করেন। শহীদ জননী এও জানালেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার জন্যে প্রতিনিধি দলে কবি বেগম সুফিয়া কামালও থাকবেন। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক, কথা সাহিত্যিক শাহরিয়ার কবীর লিখেছেন, ‘সুফিয়া কামাল আমাদের সঙ্গে আছেন জেনে শেখ হাসিনা বললেন, খালাম্মা কেন কষ্ট করে আমার বাসায় আসবেন। আমি তাঁর বাসায় যাব। সুফিয়া কামালকে জাহানারা ইমাম আপা ডাকতেন। আমরা সবাই খালাম্মা ডাকতাম। তিনি ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে ‘সাঁঝের মায়া’য় থাকতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি সুফিয়া কামালের বাড়িতে বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্মূল কমিটির শীর্ষ নেতাদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়।’ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে শেখ হাসিনার পরিচয়ও দীর্ঘদিনের। শহীদ জননীকে তিনি শ্রদ্ধা ও সস্মান করতেন। কথাসাহিত্যিক শাহরিয়ার কবির লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহানারা ইমামের পরিচয় হয়েছিল নির্মূল কমিটি গঠনের প্রায় অর্ধযুগ আগে। ১৯৮৬ সালে জাহানারা ইমামের কালজয়ী গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’ প্রকাশের পরই আলোচনা ও প্রশংসার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। একদিন শেখ হাসিনা এই বইয়ে অটোগ্রাফের জন্য জাহানারা ইমামের বাড়িতে গিয়েছিলেন বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের নিজের বাড়িতে দেখে জাহানারা ইমাম কী পরিমাণ অভিভূত হয়েছিলেন; পরে বহুবার সে কথা তিনি আমাদের বলেছেন। শেখ হাসিনা তাঁকে খালাম্মা ডাকতেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও কবি সুফিয়া কামালের প্রতি শেখ হাসিনার দুর্বলতা ও শ্রদ্ধা নির্মূল কমিটির আন্দোলনে তাঁর সহযোগিতার ভিত নির্মাণ করেছে। সূচনাপর্বে যাবতীয় ঘাতপ্রতিঘাত মোকাবেলার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার দৃঢ় সমর্থন আমাদের সাহস জুগিয়েছে।’ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এবং কবি বেগম সুফিয়া কামালসহ দেশবরণ্য মানুষদের প্রতি অনন্যা শেখ হাসিনার চিরায়ত ঐতিহ্যকে বিশেষ করে মনে করিয়ে দেয়।

বিএনপি সরকারের ‘নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গণআদালত আয়োজনের জন্য সরকার জাহানারা ইমামসহ ২৪ জন উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছিল। শেখ হাসিনা এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। ১৬ এপ্রিল (১৯৯২) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা গণআদালতের যৌক্তিকতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এবং ২৪ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা প্রত্যাহার দাবি করে যে মর্মস্পর্শী ভাষণ দিয়েছিলেনশেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ এটি।

তাঁর এই ভাষণের সময় বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে যা কখনও ঘটেনিসরকারী দলের অনেক সদস্য টেবিল চাপড়ে বিরোধী দলের নেতাকে সমর্থন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন বিএনপির সহসভাপতি ফরিদা হাসান, যাঁর স্বামী বিশিষ্ট শিল্পপতি সাইদুল হাসানকে মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। শেখ হাসিনার ভাষণ শেষ হওয়ার পর ফরিদা হাসান তাঁর আসন থেকে নেমে এসে বিরোধী দলের নেতাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।’ (আমাদের আন্দোলনে শেখ হাসিনার অবদান,শাহরিয়ার কবীর)

অনন্যা শেখ হাসিনার এমন শ্রদ্ধাবোধ সাহিত্যিক শওকত ওসমানের প্রতিও ছিল। শেখ হাসিনা তাঁকে আমৃত্যু সম্মান জানিয়েছেন।

ছাত্র দেশের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হলেও শিক্ষকের কাছে সন্তানতুল্যই থাকে, তা অন্যন্যা শেখ হাসিনা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একুশের বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। একবার নয়, বার বার। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যে বাংলা একাডেমী প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে লাল গালিচা পাতার ব্যবস্থা করে। কিন্তু প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই লাল গালিচা ছেড়ে দেন নিজের শিক্ষক দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সম্মানে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি। শুধু তাই নয়, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে মধ্যমণি করে প্রতিবছর মেলাও ঘুরে দেখেন অনন্যা শেখ হাসিনা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও নিজের শিক্ষকের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মান দেখিয়ে বাংলা একাডেমির রাস্তায় রাখা লাল গালিচা নিজে ছেড়ে নিচ দিয়ে হেঁটেছিলেন শেখ হাসিনা। হাঁটা অবস্থায় প্রিয় শিক্ষকের চাদরও ঠিক করে দিয়েছিলেন অনন্যা শেখ হাসিনা। এমন বিরল দৃষ্টান্ত জাতি মিডিয়ার কল্যাণে প্রত্যক্ষ করেছে। অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকেও শেখ একই ধরনের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত করেন। নিজের শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের হাতে সরাসরি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ তুলে দিতে না পারায় আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী, প্রধানমন্ত্রী অনন্যা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, এই প্রথম ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক’ দেওয়া হলো। আমার দুঃখ এখানেই থেকে গেল, আমি নিজে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। বিশেষ করে যখন আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক রফিকুল ইসলাম স্যারের হাতে পদক তুলে দেওয়া, এটা আমার জন্য কত সম্মানের এবং গৌরবের। কিন্তু আমার দুঃখ, নিজের হাতে দিতে পারলাম না।’ শিক্ষক রফিকুল ইসলামের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন– ‘স্যার, আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন। আসলে প্রধানমন্ত্রী হলে সব স্বাধীনতা থাকে না। অনেকটা বন্দি জীবনযাপন করতে হয়। সে রকমই আছি।’ শিক্ষকের প্রতি ছাত্রী প্রধানমন্ত্রীর এমন ভালোবাসায় স্মরণে আসে ছোটবেলায় পড়া কবি কাদির নেওয়াজের ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ কবিতার চরণ কয়খানি, ‘আজ হতে চিরউন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,/ সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্‌ আলমগীর।’

অনন্যা শেখ হাসিনা খুবই বন্ধুবৎসল মানুষ। তাঁর এই গুণের কথা উল্লেখ করতে হয় তাঁর বন্ধুমুখে। নাসিমুন আরা হক মিনু। বীর মুক্তিযোদ্ধা। সাংবাদিক। রাজনীতিক। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি। নারী আন্দোলনের এই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্কুল জীবনের বন্ধু। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত সহপাঠী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যাচমেট ছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সহপাঠীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন মহান একাত্তরের গেরিলা বাহিনীর এই যোদ্ধা। তার ভাষায়,‘ স্কুলের দিনগুলো আমাদের কেটেছে পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ে, আড্ডা দিয়ে আর দুষ্টুমি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোটবেলায় খুব দুরন্ত ছিলেন। খুব উচ্ছল ছিলেন। খুব মিশুক ছিলেন। আর ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। টিফিনের সময় স্কুলের মাঠে বসে দল বেঁধে আড্ডা দেয়া ছিল আমাদের কাজ।এখনো, এত বছর পর যখন যেখানেই দেখা হয়, আমরা যেন ফিরে যাই সেই স্কুল জীবনে, আমাদের সেই প্রিয় আজিমপুর গার্লস স্কুলে।’

শেখ হাসিনার সহপাঠী কবি নির্মলেন্দু গুণ। স্বাধীনতা পুরস্কারের মূল্যমান তিন লাখ টাকা হলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তিন লাখ দুই টাকা পেয়েছিলেন বন্ধু কবি নির্মলেন্দু গুণ। নির্মলেন্দু গুণের সাক্ষাৎকারে দুই টাকা অতিরিক্ত প্রদানের তথ্য মেলে। প্রায় অর্ধশতক আগের একটি ঘটনার কথা জানালেন কবি। ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিং নিহত হওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নির্মলেন্দু গুণ, আবুল হাসান, সেলিম আলদীন, হুমায়ুন কবির ও হুমায়ুন আজাদসহ কয়েকজন কবি বন্ধু সাম্রাজ্যবাদবিরোধী একটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেছিলেন। তখনকার মূল্যে দুই টাকার ঐ সঙ্কলনের একটি কপি নির্মলেন্দু গুণ সহপাঠী শেখ হাসিনাকে কেনার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি কিনেননি। সেই কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা পুরস্কারের সঙ্গে কবিকে নিজের পকেট থেকে আরও দুই টাকা দিয়ে দেন। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার অসাধারণ ‘সেন্স অব হিউমার’এর প্রকাশিত হয়, যা আমাদের রাজনীতিতে ইদানীংকালে বিরল।

ভবিষ্যতের কলঙ্কহীন জাতি গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে অনন্যা শেখ হাসিনার কাছ থেকে এ ধরনের শিষ্টাচার শিক্ষা আমাদের বর্তমান প্রজন্মের গ্রহণ করা উচিত।

লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার

পূর্ববর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে
পরবর্তী নিবন্ধপলোগ্রাউন্ড সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি সভা