২০২৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য যে ১০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে সেখানে আছেন একজন ক্রীড়াবিদও। তিনি দেশের সাবেক দ্রুততম মানবী ফিরোজা খাতুন। একবার দুইবার নয়, ময়মনসিংহের এই অ্যাথলেট ১০ বার দেশের দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতেছিলেন। এবার দেশের দ্বিতীয় নারী ক্রীড়াবিদ হিসেবে ফিরোজা পাচ্ছেন রাস্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। প্রথম নারী ক্রীড়াবিদ হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন আরেক তারকা অ্যাথলেট প্রয়াত সুলতানা কামাল খুকি। ফিরোজা খাতুনের আগে ক্রীড়ায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন ১৩ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও একটি ক্রীড়া ফেডারেশন (বিসিবি)। ১৯৭৭ সাল থেকে সরকার এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার সুখবর পান ফিরোজা। পুরস্কার পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি ফিরোজা। পরে এ বিষয়ে জানার জন্য তার কাছে ফোন করা হলে আবেগাপ্লুত হয়ে ফিরোজা বলেন ‘সকালে মন্ত্রীপরিষদ সচিবালয় থেকে ফোন করে আমাকে জানানো হয়েছে আমি এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছি। প্রথমে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে অনেকে ফোন করে অভিনন্দন জানানোয় নিশ্চিত হয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি অনেক খুশি’। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০ বার স্বর্ণ জিতেছেন ফিরোজা। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১০ বার দেশের দ্রুততম মানবী হয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। ১০০ মিটার স্প্রিন্ট ছাড়াও ২০০ মিটার ও হাইজাম্পেও ছিল তার সমান পদচারণা। দেশের মাটিতে এক দশকের বেশি দাপটের সঙ্গে খেলার পাশাপাশি দেশের বাইরে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে রয়েছে একটি পদক। যে কারণে ২০১২ সালের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পদক হাতে উঠেছিল। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে নেন সেই পুরস্কার। ১৯৯৬ সালে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে অবসর নেওয়ার পর অ্যাথলেটিকসের সঙ্গে তিনি আর সেভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন না। অনেক দিন ধরেই ময়মনসিংহে এক মেয়ে নিয়ে অনেকটা নিভৃতেই বাস করছেন। তবে একদম দূরে সরে যাননি। নিজ জেলা ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।