সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত খেলেছে। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে এসে পথ হারিয়ে ফেলেছে সেই বোলাররা। যদিও সেন্ট কিটসের উইকেট ছিল ব্যাটিং স্বর্গ। কিন্তু সেখানে নিজেদের দায়িত্বটা যথাযথ পালন করতে পারেনি বোলাররা। তেমনটি মানছেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ ২৯৪ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় পাঁচ উইকেটে। শেরফেইন রাদারফোর্ডের দুর্দান্ত আগ্রাসী সেঞ্চুরিতে রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানরা জিতে যায় ১৪ বল বাকি রেখে। এই মাঠে এই ম্যাচের আগে ২৬৫ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের নজির ছিল না। তবে এই ধরনের পরিসংখ্যান প্রায়ই খুব বিভ্রান্তিকর। উইকেটের আচরণ সবসময় একরকম থাকে না। এবারের এই ম্যাচের উইকেট ছিল নিখাদ ব্যাটিং স্বর্গ। তাই আরও বেশি রান বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল কি না, এই আলোচনা হলো ধারাভাষ্যকক্ষে। ইয়ান বিশপ বললেন, অন্তত তিনশ ছাড়ানো উচিত ছিল মিরাজদের। গোটা ম্যাচে ১৫৫টি ‘ডটবল’ খেলেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মিরাজ নিজে চারে নেমে ৭৪ রান করতে খেলে ফেলেছেন ১০১ বল। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলিও আরেকটু সক্রিয় হয়ে আরেকটু চালিয়ে খেলতে পারতেন। তাহলে ৩২০–৩৩০ হতে পারত স্কোর। তবে ম্যাচ শেষে মিরাজ বললেন, ব্যাটিংয়ের সমস্যা তিনি দেখছেন না। তিনি বলেন ব্যাটিং নিয়ে আমরা সন্তুষ্টই ছিলাম। এই ধরনের উইকেটে জন্য ২৯৫ খুব ভালো স্কোর। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা অনেক ভালো খেলেছে। বিশেষ করে শেই হোপ ও রাদারফোর্ড, ভালো জুটি গড়েছে তারা। মাঝের সময়টায় আমরা উইকেট নিতে পারিনি। আমাদের বোলারদের জন্য দিনটি কঠিন ছিল। শুরুতে বাংলাদেশ ভালোই চেপে ধরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ২৭ ওভারে দুই উইকেট হারায় তারা। রানরেটেও ছিল মলিন। পরে শেই হোপ ও শেরফেইন রাদারফোর্ডের জুটির সময়টায় কার্যকর বোলিং হয়নি বলে মনে করেন মিরাজ। শুরুটা খুব ভালো করেছিলাম আমরা। বিশেষ করে নাহিদ রানা, তাসকিন ও তানজিম ভালো বল করেছে। কিন্তু মাঝে ওভারগুলোয় আমরা উইকেট বের করতে পারিনি।