দেখা হয়নি বহুদিন,
ছোঁয়াও হয়নি বহুদিন,
উপেক্ষার ছলে পাশ কাটানো ছিল
আকর্ষণ এড়ানোর অজুহাত মাত্র !
সময়ের সাগরে ডুবসাঁতারে
অবচেতন মনে প্রত্যাশা ছিলো নীরব প্রতীক্ষায়!
রেলের কামরায় ‘হঠাৎ দেখা’ কবিগুরুর কবিতার
মতো আচমকা তেমন স্তব্ধ মুহূর্তের মুখোমুখি হবো
বুঝতে পারিনি কিছু সময় আগ পর্যন্তও!
তবু ভাবিনি এমন করে দেখা হবে আবার কখনো,
রাতের আলো আঁধারে ল্যাম্পপোস্টের আলোয়
কুয়াশা ভেজা হাওয়ার স্পর্শে তাকে দেখছিলাম,
সেই অমলিন মৃদু হাসিতে উষ্ণ মাতাল করে দিয়ে
আমায় না ছুঁয়ে ও জানালো শীতের সতর্কবাণী!
কিছু মুহূর্তের চৌম্বকীয় চুমুর আচ্ছাদনে মোড়ানো
বাহুডোরে অবনত সময় সুগন্ধী ধুপ হয়ে রয়ে যায়
বনলতা সেনের মুখোমুখি বসার তার দুদণ্ড নেই অবসর,
তবু তাকে ভোলা যায় না, ভোলা হয় না!
নির্ভুল জানি,সে ভোলেনি আমাকে সহস্র ব্যস্ততায়
আবারো জানান দিলো এভাবেই স্বপ্ননীল টোকায়
সে থাকুক তার বলয় জুড়ে বিস্তৃত বিস্তৃতি নিয়ে,
আড়ালেই থাকুক বনলতা জীবনানন্দের কাব্যে
তার আরাধ্যা নিখুঁত প্রতিমা হয়ে,মায়াবী মায়ায় !