লিপস্টিকসহ সাজসজ্জার বিভিন্ন ধরনের উপকরণের শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এতে সামনের দিনগুলোতে নারীদের সাজগোজের খরচ বেড়ে যাবে। এসব পণ্য কিনতে বাড়তি অর্থ গুণতে হতে পারে ক্রেতাদের। গতকাল উপস্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশে যেসব সাজগোজের সামগ্রী বিক্রি হয় সেগুলোর বেশির ভাগই আমদানি করা বলে বিক্রেতাদের তরফ থেকে বলা হয়। দেশি কিছু প্রসাধনীর ব্র্যান্ড থাকলেও সাজগোজের উপকরণগুলো পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। তবে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসব পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে ভুয়া ব্র্যান্ডিং করে বাজারে বিক্রি করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে চকলেট, মেইকাপসহ বিভিন্ন সাজগোজের উপকরণের ন্যূনতম মূল্য বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ শুল্কায়নের ক্ষেত্রে ওই ন্যূনতম মূল্য ধরেই সেই পণ্যের কেজিপ্রতি বা ইউনিটপ্রতি শুল্ক আদায় করা হবে। যার ফলে এসব পণ্যের দাম কিছু বাড়তে পারে। এর মধ্যে কোকায়া চকলেট সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের কেজিপ্রতি ন্যূনতম মূল্য ৪ থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। ঠোঁটের সজ্জার উপকরণ বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিকের ন্যূনতম মূল্য (কেজিপ্রতি) ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ ডলার করা হয়েছে। এছাড়া লিপলাইনার, লিপজেল, লিপগ্লস বা এ ধরনের পণ্যের ন্যূনতম মূল্য ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। চোখের সজ্জার উপকরণ আই শ্যাডো, আই লাইনার, আইব্রো পেন্সিল, মাশকারা ইত্যাদি পণ্যের প্রতি কেজির ন্যূনতম মূল্য ৭ থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। মেনিকিউর (হাতের যত্ন), পেডিকিউরের (পায়ের যত্ন) উপকরণ ও বিভিন্ন ধরনের পাউডারের (কমপ্রেসড অথবা অন্যান্য) ন্যূনতম মূল্য ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। ফেইস ও স্কিন ক্রিমের ন্যূনতম মূল্য ৮ থেকে বাড়িয়ে ২০ ডলার করা হয়েছে। ময়েশ্বারাইজার লোশনের জন্য ন্যূনতম মূল্য ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। মেইকাপ কিট, ফাউন্ডেশন বা এ ধরনের পণ্যের ন্যূনতম মূল্য ৬ থেকে ১২ ডলার করা হয়েছে। মেহেদি কোনের ন্যূনতম মূল্য ধরা হয়েছে ২ আর ফেইসওয়াশের ন্যূনতম মূল্য গুণতে হবে প্রতি কেজিতে ১০ ডলার করে।