ছয় টেস্টে নেতৃত্ব মোমিনুল পাঁচটিতেই সাকিব আল হাসানকে দলে পাননি। বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে ছাড়াই খেলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠার কথা বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের। তবে এরপরও শ্রীলংকার বিপক্ষে সাকিবের অভাব যেন একটু বেশিই অনুভব করবেন মোমিনুল। লংকানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট জয়ে যে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। টেস্টে দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে এবার শ্রীলংকা চ্যালেঞ্জ। সবশেষ ৯ টেস্টের আটটিতেই হেরে শ্রীলংকা খেলতে গেছে মোমিনুলের দল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের অনুপস্থিতিতে একাদশ সাজাতে ভোগান্তির কথা জানান অধিনায়ক। সময়ের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব না থাকলে যে কোনো সংস্করণেই একাদশ সাজাতে ভুগতে হয় বাংলাদেশের। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তবুও কোনো না কোনোভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। তবে টেস্টে কাজটা অনেক কঠিন। বিকল্প তেমন কোনো অলরাউন্ডার নেই দলে।
২০১৭ সালে সবশেষ লংকা সফরে একটি টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মাটিতে প্রথম সেই জয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বড় অবদান ছিল সাকিবের। প্রথম ইনিংসে করেন ১১৬ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৬ উইকেট। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৪ ইনিংসে ৪০.৫৩ গড়ে সাকিবের রান ৫২৭। দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক সাকিব বোলিংয়েও সেরা। ১২ ইনিংসে ৪১.১৭ গড়ে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। ২০ এর বেশি উইকেট আছে কেবল পেসার শাহাদাত হোসেনের । তিনি নিয়েছেন ২৪ উইকেট। চলতি সিরিজের দলে থাকা বোলারদের মধ্যে কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আর তাইজুল ইসলামের রয়েছে ১৪ উইকেট।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষের দিকে হলেও এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারা বাংলাদেশের শেষ সুযোগ এই সিরিজ। আইপিএলে খেলায় এই সিরিজে নেই সাকিব। স্বাভাবিকভাবেই তার অভাব অনুভব করার কথা জানালেন মোমিনুল। সাকিব বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। যেকোনো ফরম্যাটে দলের জন্য খুব কার্যকরী ক্রিকেটার। আমার দলের ক্ষেত্রেও একই। তিনি দলে না থাকলে কম্বিনেশন নিয়ে কিছুটা সংগ্রাম করতে হয়। অবশ্যই আমরা তাকে মিস করব।
