রূপবান শিম চাষে সফল তিন শতাধিক কৃষক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে আগাম জাতের রূপবান শিম চাষে লাভবান হয়েছেন তিন শতাধিক কৃষক। শিমের আশানুরূপ ফলন ও বাজারদর ভালো থাকায় খুশি তারা। ইতোমধ্যে উপজেলার হাটবাজার দখল করে নিয়েছে রূপবান শিম। ফলনের প্রথম পর্যায়েই কৃষকেরা আবাদ খরচ তুলে লাভের দেখা পেয়েছেন। এদিকে মৌসুমের শুরুতেই শিম কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে ইপসা১ ও ইপসা২ আগাম জাতের রূপবান শিমের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল ব্লকের ১০ হেক্টর ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৫ হেক্টর জমিতে এই জাতের শিমের চাষ করা হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, জমিতে শিমগাছের লতা ফুলে ফুলে ভরে রয়েছে। সেই সঙ্গে থোকায় থোকায় ঝুলছে শিম। কৃষকদের জমিতে পরিচর্যার পাশাপাশি বাজারে বিক্রির জন্য শিম তুলতে দেখা গেছে। এদিকে ফুল ও তাজা শিমের থোকা পথচারীদেরও মুগ্ধ করছে। বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা এলাকার কৃষক জহিরুল আলম বলেন, আগাম জাতের এ রূপবান শিম বৈশাখজ্যৈষ্ঠ মাসে লাগানো হয়। আশ্বিনকার্তিক মাসে গাছে ফলন আসে। শীতের আগে বাজারে আসায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তিনি বাজারে প্রতি কেজি শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। পৌরসভার নুনাছড়া এলাকার কৃষক আয়ুব আলী বলেন, এবার তিনি ১৬০ শতক জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন। শিমের কঞ্চি, শ্রমিকের মজুরি ও কীটনাশক বাবদ তার ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশ্বিন মাসের শুরু থেকে তিনি লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি করেছেন। শুরুতে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে তার জমি থেকে আরও দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করা যাবে। বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল এলাকার কৃষক মানিক ও আজাদ হোসেন বলেন, তারা দুজনে ১০০ শতক জমিতে চাষ করেছেন। সপ্তাহে তিন দিন বা দুই দিন তুলে বাজারে বিক্রি করেন। শীত মৌসুমের আগে শিম আসায় ক্রেতাদের কাছে কদর বেশি। তবে শীতকালীন শিম বাজারে এলে দাম কমে যাবে। এ সময় কৃষকেরা এ শিম না তুলে তার বিচি (খাইস্যা) সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করবেন। টেরিয়াইল বক্লের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার কারণে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। এতে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। এবার রূপবান শিমের বাজারদর ভালো। কৃষকেরা আগের চেয়ে লাভবান হয়েছেন বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিব উল্ল্যা বলেন, শিমের জন্য দেশব্যাপী সীতাকুণ্ডের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এখানকার মাটি শিম চাষের উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছর এখানে বিভিন্ন প্রজাতির শিম চাষ হয়। তবে শীতকালীন মৌসুমের শিমের পাশাপাশি আগাম জাতের শিম চাষে সফলতা পেয়েছেন এখানকার কৃষকেরা। এবার উপজেলার তিন শতাধিক কৃষক রূপবান শিমে লাভবান হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুজান সনটাগ: ভাবনার অন্তর্জালে
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় পল্লী উন্নয়ন কার্যালয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ