রাশিয়ার দখলে থাকা পারমাণবিক কেন্দ্রের সুরক্ষা চান জেলেনস্কি, গুতেরেস

| শনিবার , ২০ আগস্ট, ২০২২ at ৮:০১ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার শুরু করা যুদ্ধ বন্ধের পথ এবং ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুরক্ষা নিশ্চিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব এবং তুরস্ক ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টরা । জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে নতুন করে গোলাবর্ষণ নিয়ে মস্কো ও কিইভের একে অপরকে দোষারোপের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এ তিনজনের বৈঠক হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
লভিভে বৈঠক শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। জাপোরিঝিয়ার যে কোনো সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হবে আত্মহত্যার শামিল, সতর্ক করে বলেছেন তিনি। কেন্দ্রটির আশপাশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা সরিয়ে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। কেন্দ্রটিকে কোনো সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। বরঞ্চ এটিকে ফের পুরোপুরি বেসামরিক স্থাপনায় রূপান্তর এবং ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে চুক্তি করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে, বলেছেন গুতেরেস।
রাশিয়া এর আগে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুকেন্দ্র ও এর আশপাশের এলাকাকে ‘অসামরিক এলাকায়’ পরিণত করার আহ্বান খারিজ করে দিয়েছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের আগে গুতেরেসের সঙ্গে একান্তে বসেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমিরি জেলেনস্কি। ওই বৈঠক শেষে জেলেনস্কি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব ও তিনি দুজনই জাপোরিঝিয়া কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার সম্ভাব্য মিশনের শর্তাবলী নিয়ে একমত হয়েছেন। রাশিয়াকে শিগগিরই এবং শর্তহীনভাবে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে, পাশাপাশি গোলাবর্ষণ ও যে কোনো ধরনের উসকানিও বন্ধ করতে হবে, বলেছেন তিনি। পরে তিনজনের বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তিনি, গুতেরেস এবং জেলেনস্কি মার্চে ইস্তাম্বুলে হওয়া শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সামপ্রতিক সময়ে যে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্ট হয়েছে তা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমধ্য আকাশে ঘুমে বিভোর পাইলটরা, তারপর…
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা