রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রোয়াজারহাটে একটি দোকানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে তার সত্যতা যাচাইয়ে ‘মেসার্স গাজী জসিম এন্টারপ্রাইজ’ নামে ওই দোকানে হাজির হন সরকারি একটি বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন এবং অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে বাহিনীটির অন্য একটি টিমের সদস্যরা এসে তাদের উদ্ধার করেন। এছাড়া রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনায় জড়িত পারভেজ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। গত বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই উত্তম কুমার বাদী হয়ে ধৃত পারভেজসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনাম ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, মো. জসিম (৪৫), কামাল (৩৯), মামুন (৪৮), মহি উদ্দিন (৩৭), মো. সায়েদ (৩২), মো. ফরহাদ (২৮), ইউসুফ সওদাগর, মো. ফয়েজ (৪৮) ও আবদুল সালাম (৫০)। এর মধ্য ধৃত পারভেজ রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর ঘাটচেক এলাকার আবুল কালামের ছেলে এবং মামলার অন্য আসামি জসিম উদ্দিনের ভাই। এদিকে এ ঘটনার পর রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের ৮ নেতা ও সমর্থককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ও নীতি পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ–দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বহিষ্কৃতরা হচ্ছেন, রাঙ্গুনিয়া পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. গাজী জসিম উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইছু সওদাগর, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী ফরহাদ, বিএনপি সমর্থক মো. পারভেজ, সায়েদ, মো. ফয়েজ এবং মহিউদ্দিন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ মুনির হোসেন।
ঘটনার বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই উত্তম কুমার আজাদীকে বলেন, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড রোয়াজারহাট বাজারে মেসার্স গাজী জসিম এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানের ভেতরে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। সংবাদের সত্যতা যাচাই ও তথ্য সংগ্রহের জন্য বাহিনীর সদস্যরা বুধবার বিকেলে ওই প্রতিষ্ঠানে যান।
এ সময় ধৃত পারভেজসহ অন্যরা তাদের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়। একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে অন্য ক্যাম্পের সদস্যরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এর মধ্যে একজনকে ধরতে পারলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পলাতক বাকীদেরও ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান এসআই উত্তম কুমার।