নগর যুবলীগের বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে বুঝার উপায় ছিল না এটি সম্মেলন নাকি বর্ধিত সভা। সকাল ১১টায় সভার সময় নির্ধারিত থাকায় বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী নেতাদের কর্মী-সমর্থকরা সকাল ৯টা থেকে ব্যানার-ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে সভাস্থল জামালখান প্রেসক্লাবের আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকে। অনেককেই সম্মেলনের মতো ব্যান্ড পার্টিসহ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
সকাল ১১টার মধ্যে পুরো জামালখান এলাকা থেকে শুরু করে কাজীর দেউড়ি-সার্কিট হাউজ মোড়-চেরাগী পাহাড় মোড়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুন এবং মিছিল-শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। নগর যুবলীগের নতুন কমিটির বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী নেতাদের ছবিসহ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে জামালখান প্রেসক্লাব চত্বরে যুবলীগের বিভিন্ন গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগানে উত্তজেনা ছড়িয়েছে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের চট্টগ্রাম আগমনকে ঘিরে গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রামের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ভাব বিরাজ করছে। তবে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল গতকালের মহানগর যুবলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে। প্রত্যেক পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে শোডাউন করার চেষ্টা করেছেন। জামালখান প্রেসক্লাব এলাকা, সার্কিট হাউস, লালখান বাজার, কাজীর দেউড়ি পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে। বর্ধিত সভাকে ঘিরে সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে এসব ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন। শত-শত ব্যানার-ফেস্টুন-তোরণ এবং নেতাকর্মীদের মিছিল-শোডাউন দেখে বুঝার উপায় ছিল না এটা বর্ধিত সভা নাকি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে যুবলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে নগরীর ৪১ ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীদের মিছিল যখন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আসতে শুরু করে তখন কাজীর দেউড়ি থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। জট সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। বাধ্য হয়ে সকাল ১০টা থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে জামালখান মোড়ের দুই পাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ প্রশাসন। দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় নেতারা প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রবেশ করলে নেতাকর্মীদের শোডাউন কিছুটা কমে যায়। তখন সড়কে আবার যান চলাচল শুরু হয়।
