শ্রীলংকায় পৌছার পর থেকেই ভারি বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের কারণে হোটেলবন্দী ছিল বাংলাদেশ দল। তবে গতকাল প্রথমবারের মতো মাঠে নামল অনুশীলনের জন্য। নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) চক্রের সূচনায় এই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। আর সেই প্রেক্ষাপটে সামপ্রতিক টেস্ট ফর্মের কারণে মিরাজকে ঘিরে রয়েছে বাড়তি প্রত্যাশা। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গলে প্রথম অনুশীলনে অংশ নিতে পারেননি। ১৭ জুন শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে গলে এই অনুশীলন ছিল সফরকারী দলের প্রস্তুতির প্রথম সুযোগ। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স বলছেন, মিরাজকে নিয়ে দলে এখনো দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যদিও তিনি মনে করেন একজনের সমস্যা আরেকজনের জন্য সুযোগ। গতকাল সকালের সর্বশেষ খবরে জানানো হয়েছে, মিরাজ আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। ওষুধ নেওয়ার পর গতকাল সন্ধ্যায় আবার দেখার কথা তার অবস্থা কেমন। টাইগার কোচ বলেন আশা করছি, সোমবার সে অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
মিরাজ না খেললে কেমন হবে একাদশ এমন প্রশ্নের জবাবে সিমন্স বলেন হ্যাঁ, কিছুটা দুশ্চিন্তা তো আছেই। কিন্তু একজনের সমস্যা, অন্য কারও জন্য সুযোগ। সবাই চায় সে ভালো হয়ে উঠুক। তবে তারা এটাও জানে, যদি সে খেলতে না পারে, তবে অন্য কাউকে সামনে আসতেই হবে। এটা এক ধরনের ‘হেডেক’। তবে একটা ‘ভালো হেডেক’। গল টেস্টে ২০১৩ সালে ডাবল সেঞ্চুরি করে চমক দেখিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার তাকে ঘিরেও বাড়তি কৌতূহল। তবে সিমন্সের দৃষ্টিতে মুশফিক যেন শুধু উপভোগ করেন তার খেলা। মুশফিকের কাছে আমার প্রত্যাশা হলো সে যেন নিজের খেলা উপভোগ করে। আমি তার সেই ইনিংসটা দেখেছি। যেখানে সে সত্যি উপভোগ করছিল। আমি শুধু চাই এবারও সে উপভোগ করুক। বাড়তি কোনো প্রত্যাশা নেই, সে যেন নিজের মতো খেলতে পারে। সমপ্রতি একদিনের দলের অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসানকে দায়িত্ব দেওয়ায় অনেকেই বিস্মিত। তবে এতে নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করেন কোচ।
তিনি বলেন আমি মনে করি না এতে শান্তর কোনো সমস্যা হবে। সে যখন খেলতে নামে, তখন শুধুই খেলাটায় মনোযোগ দেয়। বাকি সিদ্ধান্তগুলো আমাদের ওপর ছেড়ে দেয়। এসব নিয়ে তার মনে কোনো প্রভাব পড়বে না। গলের পিচ প্রসঙ্গে সিমন্স জানান, টার্ন থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে ঠিক কতটা টার্ন হবে, তা আরও একটি রোলিংয়ের পর বোঝা যাবে। তবে দল কেমন হবে, সেই বিষয়ে মুখ খুলেননি তিনি। যদিও শান্ত ওপেন করবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সিমন্স বলেন উইকেটটা দেখতে ভালো লাগছে। সোমবার আবার রোলিং ও কাট হবে। তারপর বুঝতে পারব আসলে কী আছে। এখানে সাধারণত টার্ন থাকে। কিন্তু প্রশ্নটা হলো কতটা টার্ন হবে। তিনি বলেন উইকেট যেমনই হোক আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে সেটাই আমরা জানি।