প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আজকে আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। তোমাদের সবার হাতে মোবাইল ফোন। সেই মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সাথে তোমরা যুক্ত। এক মুহূর্তেই আমাদের কাছে খবরা–খবর চলে আসছে। এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বিকশিত করতে হবে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশ আজ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছে। তথ্য–প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের পেছনে তাকানোর আর সময় নেই।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের (মটস) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে জানিয়ে স্পিকার বলেন, মটস পঞ্চাশ বছরে ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে–বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কারিতাস বাংলাদেশ অবদান রেখেছে, যার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে মটস। মটস থেকে কোর্স সম্পন্ন করা শতকরা ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর আতিউর রহমান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
আতিউর রহমান বলেন, আজকের বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে প্রবাসী আয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেক্ষেত্রে মটস থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অনেক অবদান রাখছে। কারণ তাদের অনেকেই দেশের বাইরে কাজ করছে।
কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মট্স বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন সেবাষ্টিয়ান রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ঢাকা আর্চডায়োসিসের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও খুলনা ডায়োসিসের বিশপ জেমস্ রমেন বৈরাগী, সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, জুয়েল আরেং, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার, মটস’র পরিচালক জেমস্ গোমেজ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।