ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের বক্তব্য চাওয়ায় সাংবাদিকের মোবাইল ভাংচুর

| রবিবার , ৩ মার্চ, ২০২৪ at ৯:৫৮ অপরাহ্ণ

লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ড আধারমানিক সড়কে হাঙ্গর খালের উপর নির্মানাধীন ব্রীজের কাজে অনিয়ম ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে সংবাদের জন্য বক্তব্য চাইতে গেলে ঠিকাদার মনজুর আলমের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক আজাদী অনলাইন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি।

এসময় সংবাদের ভিডিও ধারনের কাজে ব্যাবহৃত মোবাইলটি ভেঙ্গে ফেলেন ওই ঠিকাদার।

অভিযুক্ত ঠিকাদার মনজুর আলম মনজুর কন্ট্রাক্টর (৬০) লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড স্কুল রোডের মৃত নজির আহমদের পুত্র।

রবিবার (৩ মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে উক্ত ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি জানান লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আধারমানিক সড়কে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে হাঙ্গর খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজে অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে ঠিকাদার মনজুর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে।

এক পর্যায়ে সংবাদের ভিডিও সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত One Plus 10 Pro 5G মোবাইল ফোনটি আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং আমাদেরকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর করে মেরে লাশ গুম করিবে মর্মে হুমকি ধমকিসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

উক্ত ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিসি টিভি এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইলে ভিডিও সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে উক্ত প্রতিবেদক লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেছি যার নাম্বার ১৩৭।

উল্লেখ্য, উক্ত বিবাদী ইতিপূর্বে বিভিন্ন জায়গায় ঠিকাদারী কাজে অনিয়ম ও বিভিন্ন জনকে মারধরের বিষয়ে অভিযোগসহ গত ২০/০৬/২০২৩ইং তারিখে কক্সবাজার জেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণকাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে সাংবাদিক নেতা এডঃ আয়াছুর রহমানের উপর হামলা চালায় মনজুর কন্ট্রাক্টর ও তার শ্রমিকরা। উক্ত ঘটনার ঠিকাদার মনজুরসহ তার দলবলকে পুলিশ গ্রেফতার করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলা ও মোবাইল ভাংচুরের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়েছে, আমরা তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সাংবাদিকের উপর হামলাকারিকে ছাড় দেওয়া হবেনা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান বলেন, অভিযুক্ত ঠিকাদার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্রীজ নির্মাণের কাজে ব্যবহার করছিলো। যেগুলো আমরা জব্দ করেছি। তাঁর অনিয়মের বিষয়গুলো জেনেছি, হামলা ও মোবাইল ভাংচুর এর বিষয়ে ওসি সাহেবকে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে বলেছি। আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউখিয়ায় করাতকল ও গোল কাঠ জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধডিবির তিন সদস্য প্রত্যাহার তদন্ত টিম গঠন