বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরের ওয়াসা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রাসেল আহমেদ। এতে তিনি বলেন, আমরা বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকে সঙ্গে নিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছি। এ কর্মসূচি আমরা জিইসি মোড়ে এসে শেষ করেছি। কর্মসূচির সর্বশেষ বক্তা ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ–সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। কর্মসূচি শেষ করে আমরা ওয়াসা মোড়ের একটি অফিসে আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসি। এসময় রাফিকে কল দিলেও তিনি রেসপন্স করেননি। পরে রাফি, রিজাউরসহ বেশ কয়েকজন ওখানে প্রবেশ করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক রিজাউর মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদকে প্রশ্ন করেন, আজকে যে আপনি কর্মসূচি দিয়েছেন আমাকে জানিয়েছেন? তখন মাসুদ উত্তর দেন যাদের জানানোর দরকার তাদের জানিয়েছি। সেখানে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় ‘ডট গ্যাং’ এর সদস্যরা মাসুদ এবং আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এটা অনেক বড় ধৃষ্টতা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
সংবাদ ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে রাফি এসে রাসেলের পাশে বসেন। এর একটুপর শুরু হয় হট্টগোল। এসময় রাফির দিকে একজনকে তেড়ে আসতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে রাসেলের সাথে যারা এসেছিলেন তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যান। পরে রাফি সাংবাদিকদের বলেন, যারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হোক। তিনি বলেন, আমাদের উপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। আমাদের একজন মাসউদ ভাইকে প্রশ্ন করেছে, এটা আমাদের ইন্টার্নাল বিষয় ছিল। কিন্তু হুট করে সেখানে লোকজন ঢুকে পড়ে এবং হামলা চালায়। আমাদের অনেকে আহত হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। রিজাউর বলেন, আমরা কাউকে অবরুদ্ধ করিনি। উল্টো আমাদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে।