চট্টগ্রামের রাউজানে একটি উঁচু বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়া থেকে ২৮–৩০ বছর বয়সী এক যুবককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের বৈজ্জাখালী গেট এলাকার চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই যুবক নিজেকে মো. নাছির উদ্দিন পরিচয় দেন। বাড়ি মহাখালী সেনবাগ বলে দাবি তার। ফায়ার সার্ভিসের সূত্র মতে, এ পর্যন্ত রাউজানের অন্তত ৪–৫টি বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠেছিলেন এই যুবক। নিজের নাম নাছির উদ্দিন দাবি করা এই যুবক একেক সময় একেক ঠিকানা জানিয়েছিলেন।
কখনো নোয়াখালী, কখনো কুমিল্লা আবার কখনো ঢাকা। তিনি সিরাজ বাবুর্চির ছেলে পরিচয় দেন। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই যুবক দেড়শ, দুইশ বা তার চেয়ে বেশি উচ্চতার বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় উঠে যায়। তবে তাকে কেউ উঠতে দেখে না, চূড়ায় নাচা–নাচি করতে দেখে। বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় উঠলে তার ক্ষতি হয় না, তাকে নামানোর কৌশল হচ্ছে আজান। আজান দিলে সে আর উঁচু টাওয়ারের চূড়ায় থাকতে পারে না।’ জানা যায়, নাছির পরিচয় দেওয়া এই যুবককে গত ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি রাউজানের উরকিরচর, একই সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার নোয়াপাড়া পথেরহাট বাজারের পল্লীমঙ্গল এলাকায় একটি উঁচু টাওয়ার থেকে উদ্ধার করেছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সে সময় তাঁর বাড়ি কুমিল্লায় দাবি করেছিলেন ওই যুবক। খবর নিয়ে জানা যায়, শুধু রাউজান নয় গত ২০২৩ সালেন ২৫ মে ও ৩১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দুটি এলাকার বৈদ্যুতিক টাওয়ার থেকে তাকে উদ্ধার করেছিল ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শী জনপ্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমি শহর থেকে ফেরার পথে দেখতে পাই অনেক লোকসমাগম। পরে নেমে দেখি, উঁচু টাওয়ারের চূড়ায় এক যুবক, তাকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অনেকক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে তাকে নামিয়ে আনা হয়। কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে এক উঁচু টাওয়ারে উঠেছিল। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি। আসলে সে পাগল, এ পর্যন্ত ৬–৭ বার টাওয়ারের চূড়ায় উঠেছে সে। একেকবার একেক জেলায় বিভিন্ন উঁচু টাওয়ারে উঠে যায়। আমি তার সাথে কথা বলেছি, সে পাগল; আমাকে বলেছে তার সাথে নাকি জ্বীন আছে, জ্বীন নাকি তার রক্ত খায়, টাওয়ারে তুলে ফেলে।’
