বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা

| মঙ্গলবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান তাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতাকে একটি নতুন কৌশলগত উচ্চতায় উন্নীত করার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রায় দুই দশক পরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশপাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) নবম সভায় এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রণালয়ের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। খবর বাসসের।

ইআরডির (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, খেলাধুলা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। উভয় পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনার উপর গুরুত্বারোপ করে। এছাড়াও সরাসরি বিমান ও নৌযান সংযোগ স্থাপন এবং বন্দর ও লজিস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি করে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্যিক উন্নয়নের মাধ্যমে সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৫ সালে ৮ম জেইসি সভার প্রায় দুই দশক পরে অনুষ্ঠিত এই সভা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এই জেইসি সভার মাধ্যমে উভয় দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব পুনরুজ্জীবিত ও আরো গভীর করার জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে।

সভা শেষে বাংলাদেশ সরকার এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের বিষয়ে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করে। এছাড়াও আগামী ১০ম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা জোরদারের আহ্বান
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারের নুনিয়াছড়া থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ যাবে সেন্টমার্টিন