বাংলাদেশের রায়ের কপি ভারত না পেলে এগোবে না পিকের মামলা

| বৃহস্পতিবার , ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ভারতে বন্দি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারদের মামলার শুনানি ফের পেছালো। পিকের আইনজীবী মিলন মুখার্জি অনুপস্থিত থাকার কারণে হালদারদের পরবর্তী শুনানি ১৫ মার্চ ধার্য করেছে সিবিআই১ কক্ষের বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

গতকাল বুধবার পিকেসহ ৬ অভিযুক্তদের কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নির্দিষ্ট সময় তোলা হয়। বিচারক ও ইডির আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও মিলন মুখার্জী আদালত কক্ষে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে মিলনের সহকারী আইনজীবী বিশ্বজিত মান্না বিচারকে পরবর্তীত দিনের অনুরোধ করে। সবশুনে বিচারক ১৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। খবর বাংলানিউজের।

যদিও ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী এদিন বলেছেন, অভিযুক্তর আইনজীবীর অনুপস্থিতের চেয়ে বড় বিষয় হলো, এ মামলার গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে বাংলাদেশের রায়ের কপির ওপরে। যতদিন তা ভারতের আদলতে না আসছে ততদিন মমলা বিলম্ব হতেই থাকবে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মামলার অর্ডার হয়েছে। কিন্তু, রায়ের আনুষ্ঠানিক (ডিক্রি কপি) সিদ্ধান্ত হয়নি। যে কারণে, কলকাতায় বিলম্ব হচ্ছে পিকের আনুষ্ঠানি বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে। মূলত, ডিক্রি কপির উপরই আসামিকে সাজা দেওয়া হয়ে থাকে। ওই নথি না থাকলে আসামিকে সাজা দেওয়া যায় না। সেই ডিক্রি কপি বাংলাদেশে হয়নি। এবং সে কারণে কপির প্রতিলিপি ভারতে এসে পৌঁছায়নি। যা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

কিন্তু পিকে গ্রেপ্তার হয়েছে ভারতীয় তদন্তকারীর হাতে। হালদাররা বন্দি আছেন ভারতে জেল হেফাজতে। তাহলে বাংলাদেশের রায়ের ওপর কেন নির্ভর করতে হচ্ছ? উত্তরে অরিজিত বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি এবং আদালতে প্রমাণিত সে অর্থ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আনা হয়েছে। পাশাপাশি পিকে বাংলাদেশি নাগরিক, তাও আদালতে প্রমাণিত এবং তাদের বাংলাদেশে সাজার অর্ডার হয়েছে। ফলে সেই কপি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কোন গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সাজা ঘোষণা করছে। এটা আমাদের কাছে জরুরি। এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে, হালদারদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। তিনি বলেছেন, এ কপি উপর আমাদেরও অনেকখানি নির্ভর করছে।

ফলে ভারতে মামলার গতিপ্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের রায়ের কপির উপরে। যদিও ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, হালদারদের ভারতে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পিকেদের দুই বছর জেল হেফাজতে কেটেই গেছে। বাকি থাকলো পাঁচ বছর। সেই মেয়াদ শেষ হলেই বাংলাদেশে তাদের পুশব্যাক করা হতে পারে। কারণ এটা প্রমাণিত যে তারা বাংলাদেশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বালানি তেল পরিবহনে আজ সূচনা হবে নবদিগন্তের
পরবর্তী নিবন্ধস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটায় দুইজনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা