বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া পরিষ্কার ভাষায় বললেন, ভারত ও আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা সাজাতে দেরি হয়েছে। এ কথা বলতে গিয়ে তার চোখে মুখে ছিল বিরক্তি, কখনও বা হতাশা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রস্তুতি সরেছে দল। এদিনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল সৌদি আরবে। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করেই সৌদি আরবে যাওয়া বাতিল হয়ে যায়। অনুশীলনের ফাঁকে অধিনায়ক জামাল জানান, সৌদি আরবে যেতে না পারায় ক্ষতি হয়েছে দলের। জানালেন, পরিকল্পনা সাজাতে দেরি হওয়ার কথা। ‘সৌদি আরব যেতে না পারার ক্ষতি তো আছে, কারণ আফগানিস্তান এক মাস আগে প্রস্তুতি শুরু করেছে, ভারতও অনেক আগে শুরু করেছে, ওরা তো ইতোমধ্যে পরিকল্পনা করেছে কার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে। সৌদি গেলে খেলোয়াড়দের জন্য ভালো হতো। সেখানে আবহাওয়ার পার্থক্য আছে, পরিবেশ, মাঠের পার্থক্য আছে, কিন্তু আমরা তো যাচ্ছি না।’ ‘ওরা (ভারত ও আফগানিস্তান) তো ভালো প্ল্যানিং করেছে। অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করছে। আর আমরা তো মাত্রই শুরু করলাম। অন্য কোনো দলের সঙ্গে নির্দিষ্ট করে আমাদের কোনো খেলা নাই। খেলোয়াড়রা এসব কিছু আয়োজন করে না। এটা করে ফেডারেশন। ওরা চেষ্টা করছে কিন্তু যে জিনিস ওরা চাইছে, ওরা তো পারছে না।’ প্রস্তুতি ম্যাচের গুরুত্ব বোঝাতে সে উদাহরণও টানলেন জামাল। ‘(সৌদি আরব যেতে না পারায়) খেলোয়াড়দের মন খারাপ হয়েছে। আমরা তো বাইরে যাচ্ছি না। অন্য দেশের সঙ্গে কখনও ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলা হয় না। এটা নিয়ে আমরাও আলোচনা করছি। সবচেয়ে ভালো হয় অন্য দেশের সঙ্গে খেললে, তাই না? দুই বছর আগে আমরা ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছি, এরপর আমরা কাতার ও ভারতের বিপক্ষে খেলেছি, (আমাদের খেলা) ভালো হইছে না?’ অনিয়মিতদের পরখ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি ম্যাচ জরুরি ছিল বলে মনে করেন জামাল। ‘প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে বোঝা যাবে কিছু করার নাই। যারা আছে, তারা খেলবে। প্রভাব পড়বে কিনা, সেটা খেলার পরে বুঝতে হবে। আগে প্রীতি ম্যাচ খেলি, তারপর দেখি দলে কোন কোন ঘাটতি আছে। যেকোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে ভালো। নতুন খেলোয়াড় আছে। নতুন ট্যাকটিক্যাল বিষয় আসছে। প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে ভালো।’