পিসি রোডকে জিম্মি করা চলবে না

নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে সুজন

| শনিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২০ at ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন গতকাল বিকেলে পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোডের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ সড়কের নির্মাণকাজে দীর্ঘসূত্রিতা মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন বর্ষা মৌসুম শেষ, বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। তাই কাজে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকার কথা নয়। তিনি এ সময় ঠিকাদারদের আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন।
সুজন বলেন, পিসি রোড চট্টগ্রামের লাইফ লাইন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক স্থাপনা। এই সড়কের ওপর দেশের অর্থনৈতিক গতি ও অগ্রগতি নির্ভরশীল। তাই এর নির্মাণকাজ নিয়ে টালবাহানা ও একে জিম্মি করা চলবে না। বন্দরমুখী এই সড়ক দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হয়। এছাড়া ইপিজেডের মালামাল পরিবহনকারী গাড়িও এ সড়কে চলাচল করে। ফলে এর ধারণ ক্ষমতার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। অদূর ভবিষ্যতে বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়ন হলে এ সড়কের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রশাসক এ সময় সড়ক নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পিসি রোড রক্ষণাবেক্ষণের দায়-দায়িত্ব শুধু চসিকের একার নয়। এজন্য বন্দর, কাস্টমস ও ইপিজেডের আয়ের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসেবে চসিকের প্রাপ্য। তিনি বলেন, পিসি রোডের নির্মাণকাজে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সাইট অফিস রাখা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কর্ম পরিকল্পনা এবং অগ্রগতির তথ্য সম্বলিত বোর্ড জনসম্মুখে টাঙিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া ধুলোবালিতে যাতে পথচারীদের দুর্ভোগ না হয়, সেজন্য দিনে তিন বেলা পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেন প্রশাসক। এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোপার্নিকাসকে সেন্ট মার্টিনের মানচিত্র সংশোধনের অনুরোধ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ২৪ ঘণটায় আরও ১৪৫ জন আক্রান্ত