পাপিয়া সারোয়ার আর নেই

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ

একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহেরাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। আজ শুক্রবার বাদ জুমা জানাযা শেষে তাকে বনানীতে বাবার কবরে দাফন করা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর স্বামী সারোয়ার আলম। তার দুই মেয়ের মধ্যে জারা সারোয়ার থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। আর ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার থাকেন কানাডায়। পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। তার আগে তিনি ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে গানের দীক্ষা নেন। তার প্রথম অডিও অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। অ্যালবামটির নামও ছিল শিল্পীর নামেই, ‘পাপিয়া সারোয়ার’। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পাপিয়া সারোয়ার পেয়েছেন। তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ, গায়কির প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে। আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। পাপিয়া সারোয়ার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়। ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেহেদিতে যাওয়া হলো না যুবকের, সড়কে গেল প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধপাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় এখনো চড়া