নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ডিসি ও পুলিশ সুপারদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন। এই সভায় জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পলিথিনের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে, নদী–নালা ও জলাশয় দূষিত করছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসব কারণে প্লাস্টিক পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে সকল পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। খবর বিডিনিউজের।
২০০২ সালে পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়। তবে ২২ বছর পর বাস্তবতা কী, তা সবাই দেখছে নিত্যদিন। বর্ষায় জলাবদ্ধতায় যখন ড্রেনের পানি আটকে যায়, তখন পলিথিন নিয়ে কথা উঠে, বর্ষা শেষে আবার সবাই যেন ‘ভুলে যায়’ তা।
গত ৫ অগাস্ট গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে রিজওয়ানা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। আগামীকাল ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে এবং ১ নভেম্বর থেকে ঢাকার ১০টি কাঁচা বাজারে পলিথিন বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ঘোষণাও আছে।
সরকারি প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের রিজওয়ানা বলেন, এ কাজে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, পরিবহন এবং ব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদও দেন উপদেষ্টা। বলেন, প্রশাসনের সমন্বিত পদক্ষেপই পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। পাহাড় কাটা রোধের চেষ্টার পাশাপাশি নদী দখল ও দূষণ রোধেও তাদের জোরাল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।