নিশ্ছিদ্র প্রতিরক্ষা ও উচ্চ প্রযুক্তির নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল ইরান

| মঙ্গলবার , ৬ মে, ২০২৫ at ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

ইরান সমপ্রতি কাসিম বাসির নামের একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র জনসমক্ষে এনেছে, যা উন্নত দিকনির্দেশনা প্রযুক্তি ও জটিল গতিপথ পরিবর্তনের ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত। খবর বাংলানিউজের। ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের যে কোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ জানান, এটি অত্যন্ত নির্ভুলভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ মোকাবিলা করতে পারে এবং রাডারে ধরা পড়ে না। রাষ্ট্রীয় সমপ্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, কাসিম বাসির ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে ইরান দুটি বড় সামরিক অভিযানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে।

একযোগে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এর পাঁচটিও ঠেকাতে পারবে না বলেও দাবি করা হয়েছে। গতকাল রোববার (৪ মে) ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইরানকে দায়ী করে কড়া হুঁশিয়ারি দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, উপযুক্ত সময়ে এই হামলার জবাব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ইরানের ওপর কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে, তার জবাবে তেহরান কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি স্পষ্ট করে দেন, ইরান আক্রমণের মুখে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সামরিক ঘাঁটিগুলোকেও টার্গেট করতে কোনো দ্বিধা করবে না। মার্কিন কর্মকর্তাদের হুমকির জবাবে নাসিরজাদেহ বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাই এবং তাদের আমাদের ভাই বলেই বিবেচনা করি। তবে যদি তাদের ভূমি থেকে আমাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়, তাহলে সেই দেশের ভেতরে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকেও আমরা আমাদের বৈধ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুখ্যাত আলকাতরাজ কারাগার ফের চালুর নির্দেশ ট্রাম্পের
পরবর্তী নিবন্ধআজ সারাদিন কাপ্তাই রুটে বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে