কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডস্থ মাতামুহুরী নদীর জালিয়া পাড়া পয়েন্ট থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাতামুহুরী নদীর কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকারাস্থ ফারুকিয়া মাদ্রাসা পয়েন্টে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়া পাড়ার বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পায়ে হেঁটে নদীর লক্ষ্যারচর–জালিয়াপাড়া ঘাট এলাকা পার হচ্ছিলেন এক যুবক। এ সময় মাঝ নদীতে এসে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন জাল ফেলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও হদিস পাওয়া যায়নি। পরে চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল এসে বুধবার সকালে একই পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত ওই যুবকের লাশ।
অপরদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকারার বাসিন্দা মো. রাশেদের ছেলে মো. মাসুম (৫) ও তার ফুফাতো বোন প্রবাসী ছাবের আহমদের কন্যা আসমা (৬) গোসল করতে নামে মাতামুহুরী নদীতে। একপর্যায়ে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরিচয় না পেলে কক্সবাজার আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। অপরদিকে মাতামুহুরী নদীতে গোসলে নেমে মারা যাওয়া দুই শিশুর লাশ পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রামু : কক্সবাজারের রামুতে খালের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ইলিশিয়া পাড়া এলাকার সোনাইছড়ি খালের পানিতে ডুবে দুই শিশু মৃত্যুর এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া দুই শিশু হল স্থানীয় ইলিশিয়াপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ হাবিব (৭) ও রমজান আলীর ছেলে ইয়াছিন (৬)। তারা আপন চাচাতো ভাই।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্স স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, পরিবারের সকলের অগোচরে দুই শিশু খেলতে যায়। এক পর্যায়ে তারা নদীতে ডুবে যায়। হদিস না পেয়ে দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নদীতে তাদের ভাসমান নিথর দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, খালের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি জেনেছি।