ডিসেম্বর জানুয়ারির মধ্যে শুরু হচ্ছে সংস্কার কাজ

কালুরঘাট সেতু ।। পরিদর্শনে বুয়েট দল তাদের পরামর্শ অনুযায়ী হবে সব বাড়ানো হবে লোড ক্যাপাসিটি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১০ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্যরা কালুরঘাট সেতু সরেজমিনে পরির্দশন করেছেন। তারা সেতুর শহর অঞ্চল থেকে পায়ে হেঁটে বোয়ালখালী অংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করেন। এরপর নৌকায় করে নদী থেকে সেতুর নিচের অংশও প্রত্যক্ষ করেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় বুয়েটের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল কালুরঘাট সেতু পরির্দশনে আসে। পরির্দশন টিমে ছিলেন প্রসেফর ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন, প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার খান ও প্রফেসর ড. খান মাহমুদ আমানত। তারা দুপুর ১টা পর্যন্ত সেতুর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন।
বুয়েট প্রতিনিধিদলের সাথে রেলওয়ের পক্ষে ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবির। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের পরামর্শ অনুয়ায়ী শত বছরের জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু মেরামত করা হবে জানিয়ে তিনি আজাদীকে বলেন, বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে। বাড়ানো হবে লোড ক্যাপাসিটি। সেতু যারা ব্যবহার করেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অধিক যাত্রী নিয়ে যাতে সেতু দিয়ে ট্রেন পারাপার হতে পারে সেভাবে মেরামত করা হবে। বুয়েটের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে আমরা টেন্ডার আহ্বান করব। তারপর কাজ শুরু করব।
উল্লেখ্য, কালুরঘাট সেতুটি জরাজীর্ণ। সহসা নতুন সেতু হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাই রেল কর্তৃপক্ষ জরাজীর্ণ এই সেতু দিয়ে কীভাবে ট্রেন চলাচল করবে তা জানতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটের) দ্বারস্থ হয়েছিল। বুয়েটকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। বুয়েটের পক্ষ থেকে তাতে দেওয়া হয় সম্মতি। বুয়েটের সম্মতি পাওয়ার পর তাদেরকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে অফিসিয়ালি চিঠি দেওয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে দফায় দফায় আলোচনার পর বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল সেতুটি পরিদর্শনে আসে।
রেল ভবনের একটি সূত্র জানায়, কালুরঘাট নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হতে অনেক সময় লাগবে। করে নাগাদ সেতুর কাজ শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। অর্থের যোগান না হওয়ায় এখনো প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়নি। টেন্ডারও হয়নি। এখনো অনেক কাজ বাকি। আবার নতুন করে ডিজাইন করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ফান্ডের বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট বিদ্যমান সেতুটি মেরামত করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ ২০২২ সালের শেষের দিকে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৪ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কক্সবাজার রেললাইন পরির্দশনের সময় আগামী বছরের ১৬ ডিসেম্বর কক্সবাজারে ট্রেন যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাসানচরে যুক্ত হলো জাতিসংঘ
পরবর্তী নিবন্ধসৌদি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা তিন বাংলাদেশি আহত