জীবনে সবকিছুর সাথে ‘সেল্ফ রেসপেক্ট’ কী করে করতে হয় সেটা ও রপ্ত করা উচিত। নিজের সরলতার দরজাটা সময়ের পরিমাপে ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। সম্মান করার আগে আত্মসম্মানও ধরে রাখতে শিখতে হয়। এই বিবেকহীন দুনিয়ায় সরলতা জটিলতার কাছে বারবার হারে। জীবন থেকে কয়েকটা নেগেটিভ মানিকতার মানুষ ডিলেট করে দিলে সত্যি কিছু আসা যায় না। নিজের পজিটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে চলাটা মাঝেমধ্যে বিরাট কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সত্য এমন একটা হাতিয়ার আজ হোক কাল সেটা মাটিচাপা দিয়ে রাখলেও ধরা দিবেই। যে এড়িয়ে যায়, তাকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত, যে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাকেও নজর ফিরিয়ে নেওয়া উচিত, যে নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারে না তার সাথে দূরত্ব তৈরি করে থাকা উচিত।
গায়ে পড়া সরলতা সব জায়গায় করা উচিত না, মানুষের বাহিরের সৌন্দর্যের পরিবর্তনে মনের সংকীর্ণতা পরিমাপ করা যায় না, যে যেমন তার সাথে সেইরকম না হলে কপালে দুঃখ, হতাশা, আর তুচ্ছতাচ্ছিল্য সারাজীবন আঠার মতো লেগেই থাকবে। সব মানুষ ধর্ম করে, কিন্তু মৈত্রী, করুনা, ক্ষমা সবাই করতে পারে না, ক্ষমা চাওয়ার আগেও একবার ভাবা উচিত আপনি কেন ক্ষমা চাইবেন? কারণ সবাই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে পরিমাপ করতে পারে না। আপনাকে পরিমাপের একটাই জায়গা নির্ধারণ করে দেয় আপনি হলেন শুধু একটা মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার মেশিন। জীবন থেকে কয়েকটা নেগেটিভ মানুষ আজীবন কালো কাগজেই রেখে দেওয়া উচিত।
কালোকে হাজার সাদারঙে ঢেলে দিলেও ছাই রয়ে যায়। কালো রঙের উদারতা নেই, তাই সে মিশলেও নিজের রঙে সবাইকে বশ করেই যাবে, নতুনত্ব কোনো রঙ সাজাতে পারে না। জীবনে কতোটুকু বিনয়ী হবেন, নমনীয় হবেন সেটা মানুষ সাপেক্ষে বিবেচনা করে চলতে শিখে যেতে হয়, নাহলে মনের ভিতরে অপমানের ছুরি আঘাতে রক্তাক্ত হতেই থাকে।
নীরবে কষ্ট পেতে পেতে ছটফট করতে করতে হাফিয়ে উঠি আমরা। সমাধান হলো শুধু পরিবর্তন। সবাই সরলতার দরজাটা সমানভাবে খোলা বাঁধা করতে পারি না বলেই জীবনে এতো কষ্ট, দুঃখ আর অপমানিত হতে হয়। কারণে–অকারণে।