ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে উপকূলীয় ৬ উপজেলায় ১১ হাজার ৮০৬ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৫২ জন, মহিলা ৪ হাজার ৯৭৪ জন, শিশু ১ হাজার ৭৬৭ জন ও প্রতিবন্ধী রয়েছে ১৩ জন।
গতকাল রাত ৮টায় আজাদীকে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেমাল মোকাবেলায় গবাদি পশুও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩৫৩টি গরু–মহিষ, ছাগল–ভেড়া ৩২৫টি ও অন্যান্য ১৮টিসহ মোট ৬৯৬টি গবাদি পশুকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো জেলায় ২২১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শুরু করেছে ১৮২টি টিম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তায় আলাদা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে। শুকনা খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত (গতকাল রাত আটটা) নগরীর কোনো জায়গা থেকে কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন পড়ে অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম জেলায় ৩৮ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ও ৩ হাজার ৮০০ পিস স্যালাইন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে নগরীর আকমল আলী রোড এলাকায় ডুবে যাওয়া একটি বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের করণীয় বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।