চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পরীক্ষাসমূহ সশরীরে এবং ক্লাসসমূহ অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় আবাসিক হলসমূহ খোলা থাকবে এবং শাটল ট্রেন চলাচল করবে। তবে যেসব বিভাগে এখনো পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হয়নি, সেসব বিভাগ ৬ ফেব্রুয়ারির পরে তারিখ জানাবে। আর এর মধ্যে শিডিউল পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমিটির সভায় এসব নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। ক্লাস অনলাইনে হবে। আর শিক্ষার্থী বিবেচনা করে আমরা হয়ত শাটল ট্রেনের শিডিউল পরিবর্তন করতে পারি। তবে আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে। এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চবি ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহেও এ ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনদের সুরক্ষার স্বার্থে আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) হতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষাসমাপনী অনুষ্ঠান (র্যাগ ডে) এবং জনসমাগম হয় এরূপ অন্য কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এছাড়াও দাপ্তরিক প্রয়োজন ব্যতিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তিদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলকে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।