চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন টেরিবাজারের মাস্টার মার্কেটস্থ রাবেতা ক্লথ স্টোর নামক দোকানের মালিক কামরুল ইসলাম।
তার দোকানে বিগত ১০ বছর ধরে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। সে দোকানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়সহ ব্যবসায়িক সকল প্রকার লেনদেন করে বিশ্বস্থতা অর্জন করে।
দোকানদার কামরুল বিভিন্ন সময় ব্যবসায়িক কারণে ব্যস্ত থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালামাল ক্রয়ের বকেয়া টাকা তার দোকান কর্মচারীকে দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে বা নগদ টাকা পরিশোধ করতেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টার দিকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা ও ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড টেরিবাজার শাখার ১ লাখ ৩২ হাজার টাকার ০১টি চেক এবং ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চকরিয়া শাখার ৩০ হাজার টাকার ০১টি চেক নিয়ে জমা দেওয়ার জন্য ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড টেরিবাজার শাখার উদ্দেশ্যে রাওনা হয়।
কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে দোকানে ফেরত না আসায় দোকান কর্মচারীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এবং তাৎক্ষণিক ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ঐ দোকান কর্মচারী ব্যাংকে যায়নি বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পরে ঐ কর্মচারীকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
পরে অভিযান চালিয়ে দোকান করামচারীসহ ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়, বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে মোঃ এমরানুল হক (২৪) ও মোক্তার আহমদ প্রঃ রানা বৈদ্য (৪৭) নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
এ সময় উদ্ধার করা হয়, নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা ও ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার ০২ টি চেক।
গ্রেফতার মোঃ এমরানুল হক (২৪) চট্টগ্রাম সাতকানিয়া থানাধীন দক্ষিণ হাতিয়ারকুল সোনাকানিয়ার সেনেরহাট এলাকার মোঃ নুরুল কবিরেন ছেলে ও তদন্তে প্রাপ্ত আরেক আসামি মোক্তার আহমদ প্রঃ রানা বৈদ্য (৪৭) কক্সবাজার চকরিয়া থানাথীন সিরিঙ্গা এলাকার বৈদ্য বাড়ির মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) আরমান বলেন, বর্ণিত ঘটনায় কামরুল ইসলাম এজাহার দায়ের করলে ৪০৮ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় এজাহার রুজু করে মামলার তদন্তভার এসআই/রনি তালুকদারের নিকট অর্পণ করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বস্থ গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সঙ্গীয় অফিসার ও মামলার বাদীকে সাথে নিয়ে রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে গুপ্তচরের দেওয়া তথ্য মতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন পুকুরিয়া ৯নং ওয়ার্ড আলম কমিশনার পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রানা বৈদ্যের বাড়ি থেকে মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে।