গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে মুনতাহা আলম তোহা (৯) নামের এক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিন্তু মেয়েকে মেয়ের চাচা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তিনি ডাক্তারদের বলেন মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে গেছে।
গত সোমবার রাত নয়টার দিকে বোয়ালখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড সমশু সাওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুনতাহা আলম তোহা ওমান প্রবাসী মাহবুবুল আলমের মেয়ে। তিনি একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জনক। তোহা একই এলাকার সেবা খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
তোহার বাবা মাহবুবুল আলমের সাথে কথা বলে জানা যায়, তোহা মোবাইলে ভারতীয় বাংলা নাটক আর ক্রাইম পেট্রোল বেশি দেখতো। এসব নাটকে ফাঁসির দৃশ্য দেখে সে হয়ত সেটা করার চেষ্টা করাতে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি নিশ্চিত নই কারণ আমি ওমানে ছিলাম। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে আসি।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, রাত সাড়ে নয়টার দিকে মেয়ের চাচা মেয়েকে নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার সময় আমি দেখতে পায় যে সে আর বেঁচে নেই। তারপরেও সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নুরুল আমিন সম্পর্কে মেয়ের নানা পরিচয় দেন।
কিভাবে মারা গেল ডাক্তার জানতে চাইলে মেয়ের বাবা পরিচয় দিয়ে আবুল কালাম ডাক্তারকে বলেন, মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে গেছে। তবে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায় মেয়ে ঘরের পাশের রুমে ঘরের উপরে থাকা বাঁশের সাথে উড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লেগে মারা যায়। এ
র আগে মেয়ে তাঁর ওমান প্রবাসী মাহবুবুল আলমের সাথে ফোনে কথা বলেন। মেয়েকে তিনি পরিমণি বলে ডাকতেন।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক সাইদুল ইসলাম বলেন, শরীরের কোন জায়গায় আঘাত নেই। তবে ফাঁস লাগানোর কারণে গলায় দাগ পাওয়া গেছে।
বোয়ালখালী থানার ওসি আছহাব উদ্দীন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।