কক্সবাজারে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

এম. এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | বুধবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:২২ অপরাহ্ণ

সমুদ্র শহর কক্সবাজারে এই মৌসুমের সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই রেকর্ড করা হয়।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার তুলনায় ঠাণ্ডার তীব্রতা অনেক বেশি।

বৃহস্পতি ও শুক্রবারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে আকাশ মেঘলা রয়েছে। তবে কুতুবদিয়ায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ রকম অবস্থা আরও কয়েক‌দিন চলতে পারে।

এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জী‌বিকার তা‌গিদে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

জানা গেছে, গেলো কয়েকদিন ধরে পর্যটন শহর কক্সবাজারে তেমন সূর্যের দেখা মিলছে না। আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) একেবারে অন্ধকার ও ঠান্ডায় পুরো জেলা কাঁপছে।

দিনে-রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃ‌ষ্টির মতো ঝড়তে থাকে শীত। এর মধ্যে মৃদু বেগে ঠাণ্ডা হাওয়ায় স্থ‌বির হয়ে পড়েছে স্বাভা‌বিক জীবনযাত্রা।

টেকনাফ উপ‌জলার হ্নীলার ছালেহ আহমদ (৬২) বলেন, প্রচুর ঠাণ্ডায় বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছিনা। ঘরের ভেতরেও অবস্থা খারাপ। এভাবে হলে বৃদ্ধরা প্রচুর কষ্ট পাবে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার বৈদ্যঘোনা এলাকার মুবিন (৭০) জানান, রাতে ঘরের ভেতরে বৃ‌ষ্টির মতো শীত পড়ে। সূর্যের দেখা মিল‌ছে না। খুব ঠাণ্ডা এই ঠাণ্ডায় হাত-পা ব্যাথা করে। ঠিকমতো চলতে পা‌রি না।

ঠান্ডা ও কুয়াশা হওয়ায় সড়কে গাড়ি চলাচলের সংখ্যাও কমে গেছে। অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই কেজি চাল নিয়ে ঝগড়া, টেকনাফে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধভাঙা ক্যামেরা সাথে রাখলেও তারা ভিডিও করেন মোবাইলে