বছরের পর বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন মিচেল স্টার্ক। তবে এই ৩৪ বছর বয়সে এসে নতুন করে ভাবছেন তিনি। গত ৯ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি রেখেছেন বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলার। সামনের পথচলায় ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আরেকটু বেশি নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী তারকা। ৯ বছর পর এবার আইপিএলে এসেই সাফল্যের উদ্ভাসিত হাসি ফুটেছে স্টার্কের মুখে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিরোপা জয়ে তিনি রেখেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে নিয়েছিল কলকাতা। তবে মাঠের লড়াইয়ে সেরা বিধ্বংসী চেহারায় দেখা যাচ্ছিল না স্টার্ককে। ম্যাচের পর ম্যাচে মার খেয়েছেন। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১১ করে। তবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালে দেখা মেলে সেই চেনা ছন্দের। নতুন বলে আগুনে বোলিংয়ে দলের জয়ের ভিত গড় দেন তিনি। মৌসুমের সবচেয়ে বড় দুটি ম্যাচেই তিনি ম্যান অব দ্যা ম্যাচ। ২০১৪ ও ২০১৫ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার পর আর আইপিএলে দেখা যায়নি তাকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট না খেলে এই সময়টায় নিজের শরীরকে বিশ্রাম দিয়েছেন তিনি জাতীয় দলের জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে। কখনও পরিবারের সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য মানসিকভাবে চনমনে থাকতে। এখন ৩৪ বছর পেরিয়ে তার ভাবনায় যে বদল এসেছে, সেটি তুলে ধরলেন আইপিএল ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেণ গত ৯ বছরে আমি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়েছি। নিজের শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া, ক্রিকেট ছেড়ে একটু দূরে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানো, এসবের সুযোগ নিজেকে দিয়েছি। গত ৯ বছর ধরে আমার ভাবনাজুড়ে এসবই ছিল। আমি এখন ক্যারিয়ারের শেষেরই কাছাকাছি আছি। তাই একটি সংস্করণ তাই হয়তো বাদ দিতে পারি। পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের এখনও অনেক দিন বাকি। এই সংস্করণ চালিয়ে যাব কি না ভাবছি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলতে চাইলে সবার আগে আইপিএলের কথাই আসবে। স্টার্ক অবশ্য নিশ্চিত নন পরের মৌসুমে খেলতে পারবেন কি না। তবে কলকাতার হয়েই খেলতে নিজের আগ্রহ তিনি জানিয়ে রাখলেন।
