এক ছাত্রীর গায়ে ক্রিকেট বল লাগাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে নগরীর ঐতিহ্যবাহী দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওমরগণি এমইএস কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় উভয় পক্ষ একেঅপরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নগরীর জাকির হোসেন সড়কে দুই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশাপাশি অবস্থিত কলেজ দুটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কলেজমাঠে এমইএস কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলছিলেন। এ সময় তাদের ছোঁড়া একটি বল গিয়ে ইস্পাহানি কলেজের এক ছাত্রীর গায়ে পড়ে। এমইএস কলেজের এক শিক্ষার্থী ওই বল আনতে গেলে ইস্পাহানি কলেজের শিক্ষার্থীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী এমইএস কলেজের শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। এরপরেই এর প্রতিবাদ করেন এমইএস কলেজের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনা জানাজানি হলে দুই কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষকদের মাঝেও।
জানা যায়, ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষকও এসে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন। এই ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা একেঅপরকে দোষারোপ করছেন। পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে বলেন এবং প্রতিষ্ঠানের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বেশ উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায়। কারও কারও হাতে ছিল লাঠি। উভয় কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, এমইএস কলেজ এবং ইস্পাহানির শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে শান্ত করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।