ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা একটি বিবৃতি দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বিচারকদের কক্ষে হামলা ও আদালত চত্বরে গাড়ি ভাঙচুর এবং মুসলিম হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ‘ইসকনের সন্ত্রাসীরা’ সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, এই সন্ত্রাসীরাই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় তারা আরো ৮/১০ জনকে মারাত্মকভাবে আহত করে। কোর্ট বিল্ডিং জামে মসজিদ, লালদিঘী জামে মসজিদে হামলার পাশাপাশি কোতোয়ালী, নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় তারা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করে বিবৃতিতে উক্ত সন্ত্রাসী হামলা ও ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি নের্তৃবৃন্দ দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গত সোমবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় তাকে চট্টগ্রাম আদালতে জামিনের জন্য তোলা হলে সেখানে আগে থেকে ইসকন নামধারী সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়। জামিন নামঞ্জুর হলে প্রথমে বিচারকদের কক্ষে হামলা, পরে আশেপাশে এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে, উপস্থিত সাধারণ জনতার ওপর হামলা করতেও তারা দ্বিধা করেনি। ইতোপূর্বেও তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আন্দরকিল্লা হাজারি গলিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর এসিড সন্ত্রাস চালিয়েছিল বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তারাই আজ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র আদালত ভবনে হামলা ও পরিকল্পিতভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যার মাধ্যমে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে। এই ঘটনায় দেশবাসীর পাশাপাশি গণমানুষের সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উদ্বিগ্ন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত একজন হাইপ্রোফাইল বন্দীকে আদালতে আনা–নেয়ার ক্ষেত্রে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের আরো বেশি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি ছিল বলেও নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে মন্তব্য করেন।