আর মার খেতে রাজি নই: ফখরুল

| সোমবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তা রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) তারা (সরকার) করতে চায় আবার আগের মতো। আবার আগের মতো ভোট লুট করে নিয়ে যাবে, চুরি করে নিয়ে যাবে। আমরা কি সেই নির্বাচন করতে দেব? আমরা কি রুখে দাঁড়াব? রুখে দাঁড়াব। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, আমাদের অধিকারের জন্য, আমাদের বাংলাদেশেকে রক্ষা করবার জন্য, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করবার জন্য আমাদের আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা বারবার মার খাচ্ছিবাংলাদেশের মানুষ। এবার আর মার খেতে রাজি নই।’ গতকাল রোববার বিকালে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে নবাবগঞ্জে পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। খবর বিডিনিউজের। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি নিরপেক্ষ থাকত, আপনার ভোট আপনি দিতে পারতেন। যাকে খুশি তাকে দিতে পারতেন। এখন কি সেটা হয়? হয় না। এখন ওদের (সরকার) কথা হচ্ছেআমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব। এজন্য এখন মানুষ বলতে শুরু করেছে, আগে যদি জানতাম তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না। এই নৌকা মানুষ নেবে না। কারণ এই নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। চুরির শেষ নাই এবং কাজ না করে টাকা নিয়ে চলে যায়। আর ১০ টাকার জিনিস ১০০ টাকা বিল করে নিয়ে চলে যায়।

উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু করেছে খুব ভালো। কিন্তু পদ্মা সেতুর ১০ হাজার কোটি টাকায় ৩০ হাজার কোটি টাকা করেছে। আর পাতাল রেলে করে কী কী করে? উন্নয়নের নদী বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নে সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে না। এই সরকার যদি আবার আসে, তাহলে এদেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, জাতির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এরা ফুলে ফুলে সব কলা গাছ হয়ে গেছে। যার পায়ে স্যান্ডেল ছিল, সে এখন বিরাট গাড়ি চালায় এবং বড় বড় বাড়ি তৈরি করেছে সব আওয়ামী লীগের লোকেরা; এই বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে নিয়ে, ট্যাঙ চুরি করে নিয়ে,- বলেন তিনি।

নবাবগঞ্জ শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বেলা আড়াইটায় শুরু হয়ে দুই কিলোমিটার পদযাত্রা করে বাগমারার কোর্ট ভবনের সামনে শেষ হয়।

ঢাকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির শিরিন সুলতানা, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, তমিজ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ। গ্যাসবিদ্যুৎনিত্যপণ্যে দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি সারাদেশে জেলায় জেলায় ২৫ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা করে। ঢাকা জেলায় এ কর্মসূচি হলো রোববার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আর বক্তব্য নয়। এখন আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে সোচ্চার হয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ১০ দফা দিয়েছি.. তোমরা অবিলম্বে পদত্যাগ করো, সংসদকে ভেঙে দাও এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দাও।

সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে, জনগণ সেখানে ভোট দেবে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সেখানে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আসে আসুকআপত্তি নাই। কিন্তু জনগণের ভোটে আসতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি প্রসঙ্গে কাদের নির্বাচনে না এলে জোর করতে যাব না
পরবর্তী নিবন্ধশেষ মুহূর্তে বেড়েছে বিক্রি