নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক বিদেশি নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার জিইসি এলাকায় দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রামের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাম জিদজিসোয়াহ মিশেল জেরিবা এবং তিনি পোল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন। পেশাগত কাজে তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সন্দেহ করছে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি–দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান আজাদীকে জানান, ওই বিদেশি নাগরিক ঢাকার বিগ স্টার বায়িং হাউসের কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার ছিলেন। চট্টগ্রামের তৈরি পোশাক কারখানা কেন্ট পার্কে তদারকি করতে গিয়েছিলেন তিনি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম এসে জিইসি মোড়ে অবস্থিত হোটেল পেনিনসুলার ৯১৫ নম্বর কক্ষে ওঠেন। গত রোববার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ওনার কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে কর্তৃপক্ষ রুমের বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খোলার পর দরজার পাশে পোল্যান্ডের ওই নাগরিককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। তার মাথার পেছনে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে, যাতে মনে হচ্ছে এটি হত্যা হতে পারে। তার কক্ষে জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় ছিল। তিনি আরও বলেন, সিআইডি, পিবিআই ও ডিবি পুলিশের ক্রাইম সিন এঙপার্টরা ঘটনাটি তদন্ত করছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সাল থেকে ওই নাগরিক চট্টগ্রামে বহুবার এসেছেন। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরেও তিনি এখানে এসেছিলেন। এ সময় একই হোটেলটিতে ছিলেন। পরে ক্রিসমাসে ছুটিতে তিনি নিজ দেশ পোল্যান্ডে ফিরে যান। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি আবার ফ্লাই দুবাই করে চট্টগ্রামে আসার পর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এই হোটেলে আসেন।
এই বিষয়ে হোটেল পেনিনসুলা কর্তৃপক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে হোটেলটির একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, বায়াররা তাঁকে ফোনে না পেয়ে হোটেলের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন। এ সময় পোল্যান্ডের ওই নাগরিকের রুমে গিয়ে একটু দেখে আসার জন্য বলা হয়। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ ৯১৫ নম্বর কক্ষে গেলে ভেতর থেকে দরজা লক করা অবস্থায় পায়। এ সময় বাইরে থেকে দরজার ওপর ‘ডোন্ট ডিস্টার্ব’ সাইনবোর্ড ঝোলানো ছিল। এ বিষয়ে চকবাজার থানায় বিগস্টার লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার পার্থ প্রতীম ঘোষ বাদী হয়ে একটি মামলা করছেন বলে জানিয়েছেন ওসি ওয়ালি উদ্দিন।