দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন। ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ রংপুর মহানগরীতে, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ ও ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশান ফাতিহা পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
চট্টগ্রামে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা আজ বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন। প্রধান বক্তা থাকবেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ–সভাপতি রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেন চেয়ারম্যান, নুরুল আজিম নুরু, আলী নেওয়াজ, সুমন দেবনাথ, ইয়াসির আরাফাত, এম এ এ ওমর ফারুক সিকদার সুজন ও সাংবাদিক জিন্নাত আলী।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তাঁর সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। পিতা মরহুম আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতা মরহুমা ময়জুন নেসার চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।