আগামী বছরের মধ্যেই চালু হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন

কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে রেলপথ মন্ত্রী সুজন

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ at ১০:৪৯ অপরাহ্ণ

আগামী বছরের মধ্যেই মধ্যেই দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেল লাইন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
তিনি বলেন, “কক্সবাজারবাসী ২০২২ সালের শেষদিকে রেলে চড়ে সারাদেশে যাতায়াত করতে পারবেন। সেজন্য দ্রুতগতিতে রেললাইন নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর অগ্রগতি বেশ দৃশ্যমান ও আশাব্যাঞ্জক। কিছু ভূমি বিষয়ক জটিলতা থাকলেও তা সমাধান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে ইনশাআল্লাহ।”
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি এ আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে কক্সবাজার অনুষ্ঠিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-রামু) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাদিরা সুলতানা জলি এমপি, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ প্রমূখ।
রেলপথ নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ার বিষয়টি রেলপথ মন্ত্রীর নজরে আনেন কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম এবং কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল।
এমপিদ্বয় বলেন, “রেললাইন নির্মাণে কক্সবাজার জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম এবং অনেক ক্ষেত্রে জায়গার প্রকৃত মালিকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি বলে অহরহ অভিযোগ উঠেছে। তাই বিষয়টির প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে জমির প্রকৃত মালিকেরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে।”
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার, উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিমি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পে অর্থের যোগান দিচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৭ সালে দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলওয়ের চুক্তি হয় কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজও দেরিতে শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুবকের পিতৃত্ব দাবির মামলায় আদালতে হাজির হননি বদি
পরবর্তী নিবন্ধবন্দরে ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার অডিট আপত্তি