হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ

হাটহাজারী ও রাউজান প্রতিনিধি | রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

দেশে কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র জোয়ার ভাটার নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে মা মাছ গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দশটা সাড়ে দশটার দিকে নদীতে জোয়ার চলাকালে নমুনা ডিম ছেড়েছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে ডিম ছাড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আশা করেছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
এখন পূর্ণিমার তিথি/জো চলছে। বজ্রসহ বৃষ্টিপাত না হলেও পরিবেশ শীতল রয়েছে। শীতল পরিবেশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময় বলে জানান ডিম আহরণকারীরা। গত দুই দিন অর্থাৎ গত শুক্রবার নদীতে মা মাছ অল্প পরিমাণে ডিম ছেড়েছে বিভিন্ন স্থানে। তাছাড়া গতকাল শনিবার দুপুরে নদীতে ভাটার সময় ডিমের কিছু কিছু আলামত দেখা দেয়। রাতে ডিমের নমুনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
শুক্রবার থেকে নদীতে ডিমের কিছু আলামত দেখে ডিম আহরণকারীরা নৌকা ও ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। অনেকে নদীতে পাহারায় থাকেন। শনিবার দিনে ভাটার সময় নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিমের কিছু কিছু আলামত দেখা দেয়। রাতে জোয়ার শুরু হলে নদীতে ডিমের নমুনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
গতকাল রাতে মাছুয়াঘোনার ডিম আহরণকারী মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান নদীতে ডিমের নমুনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়দুয়ারা ও মদুনাঘাট বড়ুয়া পাড়া এলাকার ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর ও আশু বড়ুয়া নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান। রাতে জোয়ারের সময় গড়দুয়ারা, কাগতিয়ার টেক, পাতাইজ্জ্যার টেক, মাছুয়াঘোনা, নাপিকের ঘাট, আজিমের ঘাট খাড়ির মুখ, মদুনাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে নমুনা ডিম সংগ্রহ করছেন ডিম আহরণকারীরা।
এদিকে রাউজান প্রতিনিধি জানান, ডিম সংগ্রহকারীরা রাত সাড়ে এগারটার নদী থেকে ফোনে আজাদীকে জানান, সন্ধ্যার জোয়ারের সময় ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে জাল ফেলে ১৫০-২৫০ গ্রাম পর্যন্ত ডিম আটকাতে পেরেছে। ভাটা পড়তে শুরু করলে হয়ত ডিম সংগ্রহের মাত্রা বাড়তে পারে। এসব ডিম পাওয়া যাচ্ছে মাদার্শা সমিতির হাট থেকে গড়দুয়ার বাঁক পর্যন্ত।
এ বিষয়ে আইডিএফের কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে জাল নিয়ে রয়েছে। তারা নমুনা ডিম সংগ্রহ করছেন। তিনি আরো জানান রাতে ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে হয়ত মা মাছ পর্যাপ্ত ডিম দিতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকন্টেনারের দখলে ৯০ শতাংশ ইয়ার্ড
পরবর্তী নিবন্ধতৃণমূলের বক্তব্যে যা উঠে এল