বজ্রকণ্ঠের চূড়ান্ত নির্দেশিকা

সাথী দাশ | বুধবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ

জীবনভর শৈনিশ্চর সময়কে খেয়েছে সময়,দম নেবার যা নিয়েছে।
হিসাবখসে পা ফেলার কথা মনে আসেনি,কোনদিন
কেউই বলেও দেয়নি।
মনে মনে বিশ্বাসছিলো,
ভেতরে ভেতরে আস্থাছিলো,
হিসাব না খসা মানুষগুলো একে-অপরের খুবই-ই কাছাকাছি আছে।
সময়ের ধাপে ধাপে মানুষগুলো আরো কাছাকাছি
হতে লাগলো।
ঐসব মানুষগুলো অবশেষে একদিন চিৎকার দিলে
সাথে সাথে একত্রে
জড়ো হতে হতে লক্ষ মানুষের ঢল জোয়ারজলে
বুক ফুলিয়ে দাঁড়ায়।
গর্বিত অহংকারে মরণজয়ী বীজমন্ত্র শুনে শুনে যারা
সু-দীক্ষিত হয়
ওরাইতো ঐদিন স্পর্ধিত সাহসে অগ্রগামী মানুষের
ঢাল হয়েছিল।
সেদিন অপ্রকাশ্যে বাতাসে শঙ্খধ্বনি,আযানের সুরে ছিলো ঐক্যের ডাক।
সারা মাঠ জুড়ে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা, চিৎকারধ্বনি;বজ্রকণ্ঠে প্রস্তুতির নির্দেশ।

প্রস্তুতি-অপ্রস্তুতির সময় পার করে ‘৭১এর ছাব্বিশের
সন্ধিক্ষণে চূড়ান্ত আদেশ।
দ্রোহের লাভা ছড়িয়ে পরে সারা বাংলায়।শুরু হয় যুদ্ধ-যুদ্ধ,সশস্ত্র যুদ্ধ;
স্বাধীনতার যুদ্ধ, মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজও ফিরেনি তারা
পরবর্তী নিবন্ধকরোনার দুল