কাল আজকাল

কামরুল হাসান বাদল | বৃহস্পতিবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

শিল্পকলায় দুর্নীতি এবং অনিয়ম প্রসঙ্গ

শেখ হাসিনা উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতালাভ করেননি। এর জন্য তাঁকে তুমুল বৈরী সময়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। পাড়ি দিতে হয়েছে বিস্তীর্ণ কণ্টকাকীর্ণ পথ, দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন। জাতির পিতার কন্যা বলে তাঁকে পড়তে হয়েছিল আরও বেশি বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতিতে। অন্তত চব্বিশবার মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু আজ তিনি তাঁর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞার গুণে বিশ্ববরেণ্য নেতায় পরিণত হয়েছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা না পেলেও ক্ষমতায় বসে উত্তরাধিকার সূত্রে যেটা পেয়েছেন তা হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতি যেভাবে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল তেমনিভাবে শেখ হাসিনাকে করেছে। যেকারণে তিনি ২০১২ সালে ‘শুদ্ধাচার কৌশলপত্র’ প্রণীত করেছিলেন।
সে শুদ্ধাচার কৌশলপত্রের ভূমিকায় লেখা আছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার, সমতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নেই রাষ্ট্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য কৌশল হল সমাজ ও রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা এবং দেশে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা।
দীর্ঘ স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ উল্লিখিত মহান আদর্শকে রাষ্টের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছিল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ‘মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ’ রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্যতম মূল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এবং ‘অনুপার্জিত আয়’কে সর্বতোভাবে বারিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে। এই নীতির সুষ্টু বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োাজনীয়তা অনস্বীকার্য । সরকার অব্যাহতভাবে দুর্নীতি দমনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এরই সুসমন্বিত উদ্যোগ হিসেবে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় কৌশলপত্র’ শিরোনামে এই জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘নেশন মাস্ট বি ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট করাপশন. পাবলিক ওপিনিয়ন মবিলাইজড না করলে শুধু আইন দিয়ে করাপশন বন্ধ করা যাবে না।’
দুর্নীতি এখন বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা। সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, দেশে -বিদেশে প্রশংসিত হলেও তার অনেকটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে দুর্নীতির কারণে। শেখ হাসিনা তা অনুধাবন করেই শুদ্ধাচার কৌশল প্রণীত করেছেন। অর্থাৎ শুদ্ধাচারের ঘাটতি আছে বলেই তিনি শুদ্ধাচার অনুশীলনের তাগিদ অনুভব করেছিলেন। তাঁর দুর্ভাগ্য হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি বিপুলভাবে সফলতা অর্জন করলেও দুনীতি দমনে ততটা সফল হতে পারেননি। আমি সে ব্যর্থতার জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করি না। বরং এ ক্ষেত্রে আমার কাছে তাঁকে বড় একা ও অসহায় মনে হয়। ভাবি তিনি কী করবেন? কাকে বিশ্বাস করবেন? দুর্নীতি কারা করে তা নিয়ে খুব স্পষ্ট কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। পাঁচ পার্সেন্ট শিক্ষিতরাই তো দেশকে চিবিয়ে খাচ্ছি। দেশের মেধাবী সন্তান, যারা বিসিএস দিয়েছেন, যারা ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন, যারা ডাক্তারি পাস করেছেন দুর্নীতি করার সুযোগ তো তাদেরই হাতে। আসলে তো ঘটছে তাই। সামান্য কিছু ব্যতিক্রমী ছাড়া দুর্নীতিতে কেউ তো পিছিয়ে নেই। এ ছাড়া দলের লোক যাকে যেখানে বসিয়েছেন সে-ই দুর্নীতি করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি। তিনি যাবেন কোথায়?
আমাদের বিশেষ করে আমার বিশ্বাস ছিল শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির লোকরা দুর্নীতি বা অনিয়ম করে না। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দুর্নীতির ফিরিস্তি দেখে, পড়ে ও শুনে আমার আক্কেলগুড়ুম। শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর এসব পদে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছিলেন।
দুর্নীতি-অনিয়মে লাকীর বিরুদ্ধে কেমন অভিযোগ তা নিচের কয়েকটি সংবাদ উদ্ধৃতিতে বোঝা যাবে। গত কয়েকদিনে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি-
দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাকে ইন্টারোগেশন সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবি চিঠি ইস্যু করা হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়াকে সদস্য করে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি করেছে।
অন্যদিকে, সামপ্রতিক অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রিম বাবদ ১৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬৬ টাকা দেওয়া হয়েছে। ‘ড্যান্স অ্যাগেইনস্ট করোনা’র আওতায় খণ্ডনৃত্য কোরিওগ্রাফি অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৯৪ লাখ ৬ হাজার ২৪৪ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠানটি আর হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্র বাদ দিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে খণ্ড খণ্ড ভাউচার ও আরএফকিউ’র মাধ্যমে মালামাল কিনে অনিয়মিত ব্যয় করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৪১৯ টাকা। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির বিপরীতে বরাদ্দকৃত অনুদান ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ের সত্যতাও পায়নি অডিট দল।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিল্পকলা একাডেমিতে জিনিসপত্র কেনার নামে যেসব ভাউচার যুক্ত করা হয় সেগুলোর বেশিরভাগ দোকানের কোনও অস্তিত্ব নেই। একাডেমির নামে তানিয়া বেডিং-এর একটি ভাউচারে দেখা যায় পর্দা কেনা হয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার টাকার। বিক্রেতার নাম লেখা হামিদ, দোকানের মালিক মাসুদ রানা। রানার নম্বরে কল করলে তিনি হামিদকে চেনেন না বলে জানান। চলতি বছর ২৭ জুন শিল্পকলা একাডেমিতে পর্দা বিক্রি করেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে সময় নেন মাসুদ। তারপর বলেন, তিনি কোনও পর্দা বিক্রি করেননি। তবে তার দোকান থেকে একটা স্লিপ নিয়ে গেছে একজন। কেনাকাটার ভাউচারে যার স্বাক্ষর রয়েছে সেই কেয়ারটেকার (প্রশাসন) সাইদুর রহমান স্বীকার করেন, তারা বরাবরই ভাউচার ম্যানেজ করেন। তারপর ধীরে ধীরে কেনেন। তার এ বক্তব্য প্রকাশ পাওয়ার আট দিনের মাথায় তাকে চাঁদপুর বদলি করে দেওয়া হয়। সামান্য পর্দা কেনার টাকা নিয়েও নয়-ছয় হয়েছে। কেলেঙ্কারির এখানেই শেষ নয়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনে চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী করোনাকালে থিয়েটার কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা অনুদানের হিসাব দেননি। এই অভিযোগ করেছেন একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ। ২৬ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের কার্যক্রম, সংকট ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ-ভাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। তার অভিযোগ, ‘করোনাকালে কর্মীদের সাহায্যের জন্য চেয়ারম্যান আমার সই ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি সেই সাহায্য এসেছে। কিন্তু সেই অর্থ বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের কোনও অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। কোনও নথিতেও নেই। চেয়ারম্যান কাকে এই অর্থ দিয়েছেন সেটারও হিসাব নেই।’
যাকে দেশবাসী একজন নাট্যজন হিসেবে জানেন তিনি কতটা লোভী হতে পারেন তার আরেকটি নজির- ১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সাধারণত এই দিবসের আগে সারা দেশে শহীদ মিনারগুলো সাফসুতরো করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলীর লাকীর নির্দেশে শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় ৩৮ দিন আগে, ১৩ জানুয়ারি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের ভাষ্য, ১৩ জানুয়ারি মহাপরিচালক লিয়াকত আলীর জন্মদিন। তাই ‘দেশব্যাপী শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকরণ কর্মসূচি’ পালনের নামে আদতে তাঁর জন্মদিনই উদ্‌যাপন করা হয়। ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, গত সাত বছর এ কায়দায় নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন তিনি। এ জন্য সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছর (২০২১ সাল) এ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে শিল্পকলার তহবিল থেকে ঢাকার অনুষ্ঠানে খরচ করা হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। শিল্পকলা একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করা পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর ধরে একাডেমির অর্থে শহীদ মিনার পরিচ্ছন্নতার নামে মহাপরিচালকের জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসব কর্মসূচিতে অনেকেই মহাপরিচালককে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অনিয়ম করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ কারণেই তিনি এগুলো করে গেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, অন্য অনুষ্ঠানে বেশি বরাদ্দ নিয়ে সেখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ব্যয় করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মহড়ার জন্য এই খাবার কেনা হয়। অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের কাছ থেকে শিল্পকলা একাডেমি সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছিল। এর মধ্যে শিল্পীদের আপ্যায়নের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪৭ লাখ টাকার খাবার কেনা হয়। এর বাইরে মহড়ায় অংশ নেওয়া শিল্পীদের আপ্যায়নের জন্য আরও ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৪ টাকার বিল দেখানো হয়। প্রশ্ন উঠেছে এই ব্যয়টি নিয়ে। শিল্পীদের আপ্যায়নের জন্য ১৯ দিনে কেনা হয়েছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকার খাবার। রসিদে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শর্মা হাউসের হাতিরপুল শাখার নাম। সেখানে গিয়ে সাংবাদিকরা দেখতে পান, যে খাবারের কথা রসিদে লেখা আছে, তা তারা বিক্রিই করে না। রসিদগুলোও তাদের নয়। এই ভুয়া রসিদ তৈরির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিরুদ্ধে। শুধু শর্মা হাউস নয়, আরও প্রতিষ্ঠান থেকে মোট প্রায় ৪৪ লাখ টাকার খাবার কেনার বিলে ব্যবহার করা হয়েছে এমন ভুয়া রসিদ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, এর সঙ্গে জড়িত শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা।
এক যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালকের দায়িত্বে আছেন লিয়াকত আলী। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক। তিনি আরও জানান, দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগগুলো তদন্ত করছে দুদক। আমরা জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে। লিয়াকত আলী লাকীর দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মূল্যবান কথা বলেছেন বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘শিল্পকলায় যা হচ্ছে, তা ভালো লাগছে না। লিয়াকত আলীর উচিত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা। নইলে এই পদগুলো সংস্কৃতিজগতের লোকদের হাতে থাকবে না।’ লেখক : কবি-সাংবাদিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধযান্ত্রিক জীবন থেকে কবে মুক্তি পাব
পরবর্তী নিবন্ধহযরত শাহজাহান শাহ্‌ (রা.) : একজন সুফি সাধক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব