আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.)

অধ্যাপক কাজী সামশুর রহমান | সোমবার , ২৬ জুলাই, ২০২১ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মাহবুবে সোবহানী কুতুবে রব্বানী হযরত শেখ সুলতান সৈয়্যদ পীর মহিউদ্দীন আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)’র ধারাবাহিকতায় দ্বীন- মাযহাব-মিল্লাত তথা দ্বীন-ইসলাম’র মূলধারাকে অক্ষুন্ন রাখার প্রয়োজনে যুগে যুগে মুজাদ্দেদে জমানগণ পৃথিবীতে শুভাগমন করেন। এ রকম একজন যুগশ্রেষ্ঠ সংস্কারক হলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’র পুরোধা রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.)।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাজারা জিলার সিরিকোট শরীফের নবী বংশের (১৯১৬ খ্রি.), পিতা কুতুবুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল, হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ সিরিকোটি (রহ.) ও মাতা সৈয়্যদা খাতুন (রহ.)’র ঔরসে গাউসে জমান আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.) জন্মগ্রহণ করেন। হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ্‌ (রহ.)’র মুর্শিদ কুতুবে আলম, গাউসে দাওরা, খলীফায়ে শাহে জিলান বিশ্বখ্যাত অদ্বিতীয় ও অবিস্মরণীয় মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রসূল নামক ত্রিশ পারা সম্বলিত দুরুদ শরীফ কিতাব প্রণেতা হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী (রহ.)র খেদমতে তৎকালীন সময়ে একদিন প্রিয় মুরীদ সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ (রহ.)’র শাহাদাত অঙ্গুলী নিজের পিঠে ঘর্ষণ করে বললেন, ‘ইয়ে পাক চিজ তুম লে লো’। অর্থাৎ এ পবিত্র জিনিষ তুমি নিয়ে নাও। এরপরেই তৈয়্যব শাহর জন্ম হয়। নাম রাখা হয় তৈয়্যব, কাকতালীয়ভাবে ‘পাক’ (পবিত্র) বাক্যটির সমার্থক হয়ে যায়। এ অলৌকিক ঘটনাই প্রমাণ করে তিনি মাতৃগর্ভের ওলী, পিতা কুতুবুল আউলিয়া সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ সিরিকোটি (রহ.) নিজ জবানে বলেছেন, ‘তৈয়্যব মাদারজাত ওলী হ্যায়’ উসকা মকাম বহুত উচাঁ হ্যায়’-সুবহানাল্লাহ্‌।
বুঝা যায়, পবিত্র আমানত এক স্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হবার প্রক্রিয়া অলৌকিক ও আধ্যাত্মিক পন্থায় হয়ে যায়। বহু শতাব্দী পূর্বে পুত্র সন্তানের জন্য প্রার্থীর পিঠে গাউসে পাক আবদুল কাদের জিলানী পিঠের ঘর্ষণ করে গাউসে পাক বলেন, তোমাকে একটা পুত্র সন্তান দিয়ে দিলাম।’ ঐ ছেলে জন্মলগ্নে নাম রাখা হয়েছিল মহিউদ্দিন ইবনুল আরবী (রহ.)। এ ছেলেটিই পরবর্তীতে বিশ্বখ্যাত শায়খুল মাশায়েখ ইবনুল আরবী নামে বিশ্বে সুফীবাদ ও আধ্যাত্মিক স্তরের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হন। বিশ্বে অদ্যাবধি এ রকম দু’টি ঘটনাই দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
শিশু তৈয়্যবকে আম্মাজান মুর্শিদ চৌহরভী (রহ.)’র দরবারে শিরনী খাওয়াতে নিয়ে গেলে চৌহরভী (রহ.) শিশু তৈয়্যবের মুখে শিরনী তুলে না দিয়ে বলেন, ‘তৈয়্যব তুম নেহী খাতেতো, ম্যাঁয় ভী নেহী খায়েঙ্গে’ একথা শেষ হতে না হতেই গরম শিরনীর ভিতর হাত ঢুকিয়ে খেতে লাগলেন, উপস্থিত সকলেই এ কারামত প্রত্যক্ষ করে বিস্ময়াভিভূত হন। মস্ত বড় ওলী হবার ইঙ্গিতেই ঘটে এ কারামত।
মাতৃদুগ্ধ পান ছাড়ানোর সময় হলে পুনরায় তৈয়্যবকে নিয়ে হুজুরের দরবারে এলেন মাতা সাহেবানী, হুজুরের সামনাসামনি হতেই তৈয়্যব দুধ পান করার জন্য মাকে পীড়াপীড়ি করতে দেখে হুজুর বলেন, ‘তৈয়্যব তম বড়া হো গ্যয়া, দুধ মত পিয়ো।’ শিশু সঙ্গে সঙ্গে শান্ত হয়ে যায়। পরে দুধ পান করার জন্য চেষ্টা করলে তৈয়্যব শাহ্‌ বলতেন, ‘বাজী নে মানা কিয়া, দুধ নেহী পিয়োঙ্গা।’ সুবহানাল্লাহ্‌।
ওলীর কারামত প্রদর্শন শুরু হল শিশু বয়সেই :
তৈয়্যব শাহ’র প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি আব্বাজান-আম্মাজানের নিকট। হযরত অল্প বয়সেই কুরআন হিফজ করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপনান্তে খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত হরিপুর দারুল উলুম ইসলামিয়া রহমানিয়ায় খ্যাতনামা উস্তাদদের নিকট হতে বিশেষ করে উস্তাযুল ওলামা সরদার আহমদ লায়লপুরির বিশেষ তত্ত্বাবধানে কুরআন-হাদিস, ফেক্বাহ্‌, মানতেক বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করার সুযোগ পান। সিরিকোটি (রহ.)’র হাতে বায়আত গ্রহণ করে ১৯৫৮ সালে খেলাফতপ্রাপ্ত হন। হরিপুর দারুল উলুম ইসলামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও অধ্যক্ষ পদে আসীন থেকে শতশত আলেম ওলামার শিক্ষক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। মূলতঃ ১৯৫৮ সাল হতে সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়ার মাশায়েখ হিসেবে কর্তব্য পালনে ব্রতী হন। তাঁর মধ্যে দু’টি ধারা প্রবহমান ছিল ১. খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী (রহ.)’র আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রয়োগ ও কুতুবুল আউলিয়া সৈয়্যদ আহমদ শাহ’র জাহেরী ও বাতেনী এলম’র ক্ষমতাসমূহ।
তিনি শুধু পাঠদান, তরীক্বার দীক্ষা, শরীয়ত, তরীকতের জন্য মাদরাসা, খানকাহ্‌ প্রতিষ্ঠা করে ক্ষান্ত হননি, দ্বীন ইসলাম’র মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত তথা মসলকে আ’লা হযরত’র নীতি-আদর্শকে সমুন্নত রাখার প্রয়াসে শরীয়ত ভিত্তিক অনুপ্রেরণাদায়ক কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবায়ন করে প্রকৃত মুজাদ্দিদে দ্বীন-মিল্লাত’র ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর প্রবর্তিত কর্মসূচিগুলোর অন্যতম ঐতিহাসিক যুগোপযোগী সৃষ্টি হল ‘জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.)’ (১২ রবিউল আউয়াল) উদযাপন।
১৯৭৪ সালে হুজুর তৈয়্যব শাহ্‌ আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র কর্মকর্তাবৃন্দকে আসন্ন ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন করার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সাথে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। খানকায়ে কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া (বলুয়ারদিঘীর পাড়) খানকাহ্‌ হতে আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ সওদাগর আলকাদেরী (রহ.)’র নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পীর ভাইয়েরা ১২ ই রবিউল আউয়াল জশনে জুলুছ বর্ণাঢ্য মিছিল বের হয়ে ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে তকরির, মিলাদ, কেয়াম, ফাতেহাখানি ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। এ প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় প্রায় অর্ধশতাব্দির সময় ধরে জুলুছ উদযাপিত হয়ে আসছে উত্তরোত্তর পরিসর বৃদ্ধির মাধ্যমে।
১৯১৮ সালে চট্টগ্রামের জুলুছে পঞ্চাশ লক্ষাধিক নবী-ওলী প্রেমিক মুসলিম ভাইয়েরা গাউসে জমান আওলাদে রসূল, (৪০তম) সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন বলে দেশ বিদেশী সংবাদ, চ্যানেলসমূহে খবর প্রচার হয়েছে। কুরআন-হাদীসের আলোকে এ জুলুছ যথার্থ, প্রিয়নবীর বেলাদত দিবসে এ রকম জুলুছ অনেক দেশে প্রচলিত ছিল, এখনো আছে। এটা লুপ্তপ্রায় সুন্নাত। এটাকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন হুজুর তৈয়্যব শাহ্‌। এটাই হচ্ছে মুজাদ্দেদের কাজ। প্রথম প্রথম নবী-ওলী বিদ্বেষীদের সাথে সাথে দরবার ভিত্তিক সুন্নী মুসলমানরাও এর বিরুদ্ধচারণ করে এবং বিরূপ মন্তব্য করলেও সময়ের ব্যবধানে এর যথার্থতা গ্রহণযোগ্যতা অনুধাবন করে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভিন্ন ভিন্নভাবে তারাও জশনে জুলুছ উদযাপন করছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌। হুযুর বলতেন, আ’লা হযরত শুধু বক্তব্যের উপর নির্ভর করেননি, ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে অনাগত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন অকাট্য যুক্তি নির্ভর দিক নির্দেশনা। ওয়াজ-নসিহত, বক্তব্য, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মানুষ ভুলে যায়। কিতাব, বই লিখিত যে কোন কিছুর আবেদন ও গুরুত্ব অপরিসীম। দালিলিক প্রমাণাদির উৎস হচ্ছে কিতাব, বই পত্রিকা, প্রভৃতি। কাজেই চিরন্তন আবেদন রক্ষার্থে কিতাব বা বইয়ের বিকল্প নেই। সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহ জাল্লাশানুহুর ‘কুরআন’ ও নবীজির ‘হাদীস’সমূহের সংকলন।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’র নীতি আদর্শ প্রচার ও বাতিলের বিরুদ্ধে দালিলিক যুক্তি নির্ভর বক্তব্য উপস্থাপন করতে হলে প্রয়োজন একটি পত্রিকা (মুখপত্র)। তাই তিনি ১৯৭৭ সালে ‘তরজুমান-এ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’ নামক মাসিক দ্বীনি পত্রিকা তরজুমান-এ আহলে সুন্নাত বের করার জন্য আনজুমান ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন এবং তিনি স্বয়ং এর নাম প্রবর্তন পূর্বক উদ্বোধন করেন। বিগত ৪২ বছর যাবৎ নিয়মিতভাবে এ পত্রিকা বের হয়ে আসছে আনজুমান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায়। সত্যের পক্ষে সোচ্চার মিথ্যার বিপক্ষে খড়গগ্রস্থ ধারায়। এতে তাফসির, হাদিস প্রবন্ধ প্রভৃতি লেখা হয় নিয়মিতভাবে, প্রশ্নোত্তর দেয়া হয়।
বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বহু দেশের অনুসন্ধিৎসু মুসলমান তরজুমান পাঠ করে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ঈমান আক্বীদাকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হচ্ছেন। হুযুর বলেন ‘ইয়ে তরজুমান বাতিল কে লিয়ে মউত হ্যাঁয়’। সুবহানাল্লাহ্‌। এ তরজুমান যুগ যুগ ধরে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ঠিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ্‌।
মুজাদ্দেদে জামান’র মুখ নিঃসৃত বাণী আল্লাহ-রসূলের ইচ্ছারই প্রতিফলন মাত্র। এ মহাপুরুষের সর্বশেষ নির্দেশ ‘গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আনজুমান ট্রাস্টকে নির্দেশ দেন এবং এটাই হবে আনজুমান ট্রাস্ট একমাত্র অঙ্গ-সংগঠন। ‘আনজুমান ট্রাস্ট’র নির্দেশনায় দ্বীন-মিল্লাত শরীয়ত, তরীক্বতসহ মানবকল্যাণমুখী সকল কার্যক্রম মাঠে-ময়দানে বাস্তবায়ন করছেন ভাইয়েরা। আল্লাহ্‌ রসূল ও মুর্শিদের রেজামন্দি হাসিলের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গাউসিয়া কমিটি নিরলস ও কঠোর পরিশ্রম করছেন। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯’র থাবায় বাংলাদেশসহ বিশ্ব যখন অস্থিরতায় ভুগছে, জনম জনমের পরমাত্মীয় যখন আপনজনদের লাশ ফেলে পালাচ্ছে, তখন এ অসহায় মৃতদের দাফন-কাফন গোসল দেয়াসহ যাবতীয় কার্যাদি পরম যত্নসহকারে সম্পাদন করছে গাউসিয়া কমিটির ভাইয়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এই সুযোগ পাচ্ছে। মহান আল্লাহ্‌ সমগ্র সৃষ্টির জন্য রাব্বুল আলামীন, প্রিয়নবী সমগ্র সৃষ্টির জন্য রাহমাতুল্লিল আলামীন। তেমনি আল্লাহর বন্ধু ওলীগণও সমগ্র সৃষ্টির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। মানবিকতার প্রতীক, সমস্ত ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে। এটাই হচ্ছে ‘ইসলাম’র মূলনীতি। গাউসিয়া কমিটি প্রতিষ্ঠাকালে হুযুর তৈয়্যব শাহ্‌ বলেন, ‘ইয়ে গাউসে পাক (রা.) কা ঈমানী ফৌজ হ্যায়।’
জশনে জুলুছ, তরজুমানে আহলে সুন্নাত ও গাউসিয়া কমিটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এক যুগান্তকারি প্রেরণার উৎস হতে পারে। ১৫ জিলহজ্ব এ মহাপুরুষ মুজাদ্দেদে জামান লক্ষ লক্ষ মুরীদ, নবী ও ওলী প্রেমিকদের নিকট হতে বিদায় গ্রহণ করে মাহবূবে এলাহীর দিদারে প্রস্থান করেন। হে আল্লাহ্‌ হুজুরের প্রদর্শিত নীতি আদর্শের প্রতি অটল থেকে যেন জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে পারি সে প্রার্থনাই করছি এ দিনে। প্রাণপ্রিয় মুর্শিদের রাফে দারাজাত কামনা করছি।
লেখক: প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি, আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহমান সময়
পরবর্তী নিবন্ধ২৭ রোগীকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা