পুরনো কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তুলতে বুয়েটের প্রস্তাবিত সমীক্ষা ফি এর বিষয়ে আজ রেল ভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আজকের বৈঠকে সমঝোতা হলে বুয়েটের সাথে রেলওয়ের চুক্তি হবে। এই চুক্তির ফলে সমীক্ষা ফি চূড়ান্ত হলেই কাজ শুরু করবে বুয়েট। জানা যায়, কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত ৯০ থেকে ৯২টন ওজনের ইঞ্জিনসহ আধুনিক কোচ নিয়ে কক্সবাজারগামী ট্রেন চলাচল উপযোগী করে তোলার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বুয়েট রেলওয়ের কাছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া আজাদীকে জানান, আজকের বৈঠকে সেতু মেরামতের প্রস্তাবনা নিয়ে সমঝোতা হলে বুয়েটের সাথে আমাদের চুক্তি হবে। সেই অনুযায়ী কঙবাজারগামী ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে সেতু মেরামত করা হবে। কালুরঘাট সেতু মেরামতের বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদেরকে কঙবাজারে ট্রেন চালাতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে সেতু মেরামত করা না হলে কঙবাজারে ট্রেন চলবে কি করে-সেই চিন্তা আমাদের আছে। তিনি জানান, নতুন সেতুর এখনো সমীক্ষা শেষ হয়নি। এই বিষয়টি রেল ভবন থেকে মনিটারিং করা হচ্ছে।
জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে আগামী ৫-৬ বছর কঙবাজার রুটের উচ্চ গতির ট্রেন চলানোর জন্য বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের দেয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী সংস্কারের টেন্ডারে যাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে লক্কর ঝক্কর পুরনো কালুরঘট সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১০কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালছে কোন মতে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের দিকে কঙবাজার রুটে পর্যটকবাহী এবং যাত্রীবাহী ও লোকাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এজন্য চট্টগ্রাম-কঙবাজার রেল লাইনের কাজ চলছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন কালুরঘাট সেতুর কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ।
বর্তমান কালুরঘাট সেতু দিয়ে কঙবাজার রুটে দ্রুতগতির ট্রেন চালানো একেবারেই অসম্ভব বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। একই কথা স্বীকার করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তাই বাধ্য হয়ে রেল কর্তৃপক্ষ পুরনো কালুরঘট সেতু বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের দেয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন।