মহান আল্লাহ জ্বীন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এক আল্লাহর এবাদত করার জন্য। স্রষ্টার স্মরণে রয়েছে সৃষ্টির প্রশান্তি। দুনিয়ার মোহমায়া ও চাকচিক্যের বেড়াজালে মানুষ যখন কুরআন সুন্নাহর পথ থেকে সরে যায় তখন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। যখন এবাদত ও রিয়াজতে মগ্ন থাকে তখন আল্লাহর রহমতের মাঝে আবৃত হয়। লাইলাতুল নিসফে মিন শাবান তথা শবে বরাত হলো এবাদতে মশগুল থাকার অপূর্ব সুযোগ, ক্ষমা ও দয়া লাভের মহিমান্বিত রজনী। লাইলাতুল বরাত হলো মুক্তির রাত, ভাগ্য রজনী। গত শুক্রবার বাদে জুমা হতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের গাউছুল আজম কমপ্লেঙে অনুষ্ঠিত ৬৯তম পবিত্র শবে বরাত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে কাগতিয়া দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ তকরিরে একথা বলেন। মাহফিলে অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন প্রমুখ। মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি
বাংলাদেশের উদ্যোগে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে দিন-রাত ব্যাপী গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদে জুমা- খতমে কোরআন ও শবে বরাত শীর্ষক আলোচনা, বাদে আছর- তরিক্বতের বিশেষ পদ্ধতিতে ফয়েজে কোরআন প্রদান, বাদে মাগরিব- মোরাকাবা, জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী এবং বাদে এশা- মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলীর তকরির মোবারক। মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
মাহফিলে প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রিয় রাসুল (দ.) এই ধরার বুকে এসেছেন মানুষকে তৌহিদের দিকে নিয়ে আসার জন্য। সৃষ্টিকে স্রষ্টা পর্যন্ত পৌঁছে দেবার জন্য। প্রিয় রাসুল (দ.) এর এই মহান দায়িত্ব নবুয়্যতের পরিসমাপ্তির পর অলি আবদাল গাউস কুতুবগণ পালন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রাঃ)কে আমরা পেয়েছি। যিনি মানুষকে বুঝিয়েছেন দুনিয়ার চেয়ে আখেরাত উত্তম, হালাল পথে রয়েছে সত্যিকারের প্রশান্তি, এবাদতের মাঝে রয়েছে স্রষ্টার নৈকট্য, এখলাসের মাঝে রয়েছে আমলের সৌন্দর্য, কুরআন সুন্নাহর নিরিখে জীবন যাপনের মাঝে রয়েছে নবীজির সান্নিধ্য। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।