চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকায় ব্রিজের গোড়ায় মাটি সরে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্রিজ সংলগ্ন সড়ক ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, গত বর্ষা মৌসুমে টংকাবতী খালে পানির স্রোতে ব্রিজের এক কোণায় মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত গর্ত ভরাটের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যার ফলে দীর্ঘদিন যাবত সড়কের পাশ দিয়ে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ হচ্ছে। এছাড়া আগামী বর্ষার আগে গর্তটি ভরাট না করলে মহাসড়ক ধস ও ব্রিজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। দ্রুত ব্রিজের গোড়ার গর্তটি ভরাট করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের এক পাশে গোড়ার দিকে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামনে বর্ষায় খালে পানি বৃদ্ধি পেলে সেই গর্ত বড় আকার ধারণ করবে। আরো মাটি সরে গেলে মহাসড়ক ভেঙ্গে যাবে। ব্যাহত হবে যানবাহন চলাচল। ধসে যাওয়া অংশে রয়েছে গাইড ওয়াল। খালের অপর প্রান্তে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে সিংহভাগ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি স্বাভাবিক গতিতে প্রবাহিত হতে না পেরে ব্রিজের গোড়ায় এই ধস সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় এম এ এইচ রাব্বি জানান, প্রতিদিন উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনের ময়লা–আবর্জনা ফেলা হয় টংকাবতী খালের ব্রিজের গোড়ায়। যার ফলে খালের একপাশের সিংহভাগ ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে বর্ষায় খালে পানি স্রোত গাইড ওয়াল অতিক্রম করে ব্রিজের গোড়ার মাটি ধসে গেছে। এভাবে ময়লা–আবর্জনা খালে ফেললে ভরাট হয়ে যাবে খাল। ফলে পরিবর্তন হবে খালের গতিপথ। হুমকির মুখে পড়বে ব্রিজটি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ–সহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফ জানান, রাজঘাটা ব্রিজের গোড়ায় একপাশে মাটি ধসে সৃষ্ট গর্তটি ভরাট করে দেওয়ার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।