ওরা সর্বসাকুল্যে তিনজন
দাঁড়িয়েছিল চৌরাস্তার মোড়ে
গন্তব্যে পৌঁছুবার আকুলতায়
ওরা ছিল উদগ্রীব
তাইতো হাত তুলে গাড়ি থামাবার
একান্ত প্রচেষ্টা।
তারা জানতো
সব গাড়ি সব স্টেশনে থামে না
তবুও নিরন্তর চেষ্টা…
ইতোমধ্যে দু’একটা গাড়ি থামল
ওদের প্রথমজন নাক সিঁটকে বলল ‘লাশের গাড়ি’
দ্বিতীয়জন বাস্তববাদী, সে উচ্চারণ করল
আসলে আমরা সবাইতো ‘জীবন্ত লাশ’।
তৃতীয়জন আধা প্রগতিবাদী, সে বলল :
‘যত দেরিই হোক লাশের গাড়িতে যাব না।’
সিগন্যাল পেয়ে যা-ই থামে
সব ক’টিই লাশের গাড়ি।
হঠাৎ একটি দ্রুতগামী ট্রাক
ওদের দ্বিতীয়জনকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়ে
পালিয়ে গেল দ্রুত।
বাস্তববাদী মানুষটি
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
‘নিঃশ্বাসের নেই কোন বিশ্বাস’
কথাটি সত্য প্রমাণ করে
বাবা-মার দেয়া নামটি চিরতরে মুছে ফেলে
একটি পরিচয়ে পরিচিত হল আহত মানুষটি
সে পরিচয় ‘লাশ’।
‘লাশের গাড়িতে যাব না’ এ গর্ব
কাচের বাসনের মতো চুরমার করে
ওরা সামনের দিকে এগিয়ে চলল
লাশের গাড়িতেই।