রাউজানে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী তাকে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। যুবলীগ নেতা হাসান মুরাদ রাজুর (৩৮) বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার স্থানীয় শিল্পী মহাজন নামের এক নারী রাউজান থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন। হাসান রাজু রাউজান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও হলদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা গ্রামের আবুল কালামের পুত্র।
খবর নিয়ে জানা যায় যুবলীগের এই নেতা সম্প্রতি রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের বিশু মহাজনের স্ত্রী শিল্পী মহাজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। এমন অভিযোগ পেয়ে সাংসদ বিষয়টি বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের দিয়ে তদন্ত করা শুরু করেন। তিনি এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ডও উদ্ধার করেন। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে সাংসদ রাজুকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর আগে ভুক্তভোগী নারী রাজুর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা রুজু করেন।
এই ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।